মার্কিন এক্সন মবিল কাজ পাচ্ছে দেশের গভীর সমুদ্রে
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ এপ্রিল ২০২৩, ১২:০৬:৫৫ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ পাচ্ছে শীর্ষস্থানীয় মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি এক্সন মবিল।
এ কোম্পানি সাগরের ১৫টি ব্লকে এই অনুসন্ধান চালাতে চায় বলে সরকারের কাছে লিখিত প্রস্তাব জমা দিয়েছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুরুত্বপূর্ণ এ প্রস্তাবের ব্যাপারে নীতিগত সম্মতি দিয়েছেন। তবে মার্কিন কোম্পানিটির সঙ্গে চুড়ান্ত চুক্তি করার আগে তার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারকদের।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সোমবার বিকালে একটি গণমাধ্যমকে বলেন, এক্সন মবিলের প্রস্তাবটি বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়েছি। আমরা এ প্রস্তাবের ব্যাপারে ইতিবাচক আছি। প্রধানমন্ত্রীও এ ব্যাপারে সম্মতি দিয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে বলেছেন। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এই কমিটি আগামী সপ্তাহ থেকে কাজ শুরু করবে। তিনি বলেন, অনুসন্ধান শেষে যদি সবকিছু ফলপ্রসূ হয়, তাহলে এক্সন মবিলের সঙ্গে আন্তর্জাতিক উৎপাদন অংশীদারত্ব চুক্তি (পিএসসি) করা হবে। এজন্য পিএসসিকেও ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু হয়ে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দেশের বিদ্যমান জ্বালানি সংকট আর ক্রমবর্ধমান চাহিদার মধ্যে আশার আলো লুকিয়ে আছে সাগরের তলদেশে। যদিও মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা জয়ের এক দশক পেরিয়ে গেলেও আশানুরূপ কোনো অগ্রগতি হয়নি। গভীর ও অগভীর সমুদ্রে চারটি বিদেশি কোম্পানি কাজ শুরু করলেও পরবর্তী সময়ে চলে যায় তিনটি কোম্পানি। বর্তমানে অগভীর সমুদ্রের দুটি ব্লকে ভারতীয় কোম্পানি ওএনজিসি অনুসন্ধান চালাচ্ছে। এমন বাস্তবতার মধ্যে সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি এক্সন মবিলের প্রস্তাব আশা জাগাচ্ছে সম্ভাবনার। গভীর সমুদ্রের ১৫ ব্লকের প্রায় সবকটিতেই আগ্রহ দেখিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, সব ঠিকঠাকমতো চললে চলতি বছরেই মার্কিন কোম্পানিটির সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বহুজাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি নিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা দেয় নানা বিতর্ক। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েই সমঝোতা করা হবে।




