ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডির আঘাতে মালাবিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০০
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ মার্চ ২০২৩, ১:০৪:১৫ অপরাহ্ন
অনুপম আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফ্রিকার মোজাম্বিক ও মালাবিতে ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডির আঘাতে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২০০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে মালাবিতে মৃত্যু হয়েছে ১৯০ জনের। আর মোজাম্বিকে ১০ জন। এছাড়া আরও ছয় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) মতে, ফ্রেডি দক্ষিণ গোলার্ধে রেকর্ড হওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলোর অন্যতম এবং খুব সম্ভবত সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়।
আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, ভারত মহাসাগর পেরিয়ে গত শনিবার (১১ মার্চ) মোজাম্বিকের মধ্যাঞ্চলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডি। এ সময় এর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার।
এতে মোজাম্বিকের মধ্যাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঝড়ের সঙ্গে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক বন্যা। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মোজাম্বিকের পর ফ্রেডি আঘাত হানে মালাবিতে। এতে দেশটিতে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হয়। এর ফলে ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। দেশটিতে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) মালাবির সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিভাগ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে এখন পর্যন্ত ১৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও ৫৮৪ জন আহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৩৭ জন।
ডক্টর উইদাউট বর্ডার্সের প্রধান মারিওন পেচায়ার জানিয়েছেন, ‘মালাবির বেশিরভাগ ঘরবাড়ি মাটি ও টিনের তৈরি। ঝড়ে টিনের চাল মানুষের মাথায় ভেঙে পড়েছে।’
মালাবি প্রাকৃতিক সম্পদ ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হয়ে গেছে। তবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে এখনও প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে।’
মোজাম্বিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কিছু অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং ফোনের সংকেত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় মোজাম্বিকে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির সংখ্যা এখনও স্পষ্ট নয়।
মোজাম্বিকের আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, গত চার সপ্তাহে এক বছরের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। তারা জানিয়েছে, এতে নদীগুলো বাঁধ ভেঙে ব্যাপক বন্যা হতে পারে।