ইসলামী বক্তা শরীফুলের জিহ্বা কেটেছিল তারা যে কারণে
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ মার্চ ২০২৩, ২:১৮:০৬ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর শ্রীপুর মাদ্রাসার প্রভাষক ও ইসলামী বক্তা শরীফুল ইসলাম ভূইয়ার জিহ্বা কর্তনের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৯।
বুধবার দুপুরে শহরের পৈরতলায় অস্থায়ী ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানায় র্যাব।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, জেলার বিজয়নগর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মৃত হেলিম ভূইয়ার ছেলে জাকির হোসেন জাক্কু (৪৮), একই গ্রামের আমির আলী ভূইয়ার ছেলে মাহবুবুল আলম শিমুল (৩৩), একই উপজেলার দৌলতবাড়ি চাওড়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে সুমন (৩৫), কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার বিংলা বাড়ির গ্রামের মৃত শেবু মিয়ার ছেলে আমিরুল ইসলাম রিমন (২০)।
র্যাব-৯ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মুমিনুল হক জানান, গত ৫ই মার্চ ইসলামী বক্তা মাওলানা শরীফুল ইসলাম ভূইয়া বিজয়নগর উপজেলার দৌলতবাড়ি দরবার শরীফের মাহফিল থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে আখাউড়ার রামধননগর এলাকার রেলক্রসিংয়ের উত্তর পাশে মামলার আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন তাকে আটক করে হত্যার উদ্দেশে তার উপর আক্রমণ করে তার জিহ্বা কেটে দেয়। এ ঘটনায় আহত শরিফুলের চাচা বাদী হয়ে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে ঘটনাটি দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনার ঝড় তুলে। এর প্রেক্ষিতে র্যাব ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, শরীফুল ইসলাম ভূইয়া গত ৫ই মার্চ মাহফিলে বক্তব্যের কিছু অংশ আসামিদের কাছে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় সেই বক্তব্যের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তারা হামলা চালিয়ে জিহ্বা কেটে দেয় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে। তার সঙ্গে থাকা সহযোগীকেও আহত করে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আখাউড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন দুলাল বলেছিলেন, ‘শিয়া অনুসারীদের নিয়ে বক্তব্য দেয়ায় পূর্ব পরিকল্পনা করে এই হামলা চালানো হয়েছে।’
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘মাওলানা শরীফুল ইসলাম ইসলামপন্থী আরেকটি দলের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়ায় বাড়ি ফেরার পথে তার ওপর হামলা করেছে এমন খবর শুনেছি।