কয়েকদিনের মধ্যে বাখমুতের পতন, তারপর যা হতে পারে (ভিডিও)
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ মার্চ ২০২৩, ১০:৪২:০৯ অপরাহ্ন
অনুপম আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ন্যাটো প্রধান স্টোলটেনবার্গ সাফ বললেন, কয়েকদিনের মধ্যে বাখমুতের পতন তারা দেখতে পাচ্ছেন। বললেন রাশিয়াকে কমজোর ভাবা যাবে না।
ওদিকে দোনেৎস্কের গুরুত্বপূর্ণ শহর বাখমুতের পতনের পরিণতি সম্পর্কে সাবধান করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
সিএনএন’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বাখমুতের পতন হলে ইউক্রেনের অন্য শহরগুলো দখলে ‘খোলা রাস্তা’ পেয়ে যাবে রাশিয়া। রুশরা প্রায় চারদিক থেকে এই শহর ঘিরে ফেলার পরেও সেখানে বিপুল সেনা মোতায়েন করে রেখেছেন জেলেনস্কি।
সাক্ষাৎকারে তিনি তার এই সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, বাখমুতকে রক্ষা করা আমাদের জন্য কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। বাখমুতের পতন শুধু এই শহরের পতনই হবে না। তারা এরপর ক্রামাতর্স্কে আক্রমণ করতে পারবে, স্লোভিয়ানস্কে আক্রমণ করতে পারবে। বাখমুতের পর ইউক্রেনের অন্য শহরগুলোর জন্য খোলা রাস্তা পেয়ে যাবে রুশরা। এ কারণেই আমাদের সেনারা এখনও বাখমুতে যুদ্ধ করছে।
কয়েক সপ্তাহব্যপী আক্রমণের পর বাখমুতের তিন দিক থেকে শহরটিতে প্রবেশ করেছে রাশিয়ার প্রাইভেট মিলিটারি কোম্পানি ওয়াগনার। এই ওয়াগনারের যোদ্ধারাই এর আগে সোলেদার শহর দখল করেছিল। এবার তারা বাখমুতকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলছে। এরইমধ্যে এই শহরের সবগুলো সরবরাহ রুট বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে।
শহরের মধ্যে প্রায় ৩০ হাজার ইউক্রেনীয় সেনা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওয়াগনারের তরফ থেকেও জানানো হচ্ছে, যুদ্ধের তীব্রতা এখন যে কোনো সময়ের থেকে বেশি। ইউক্রেনীয় সেনারা রাশিয়ার অগ্রগতি যত ধীর করে দেয়া সম্ভব সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সিএনএন জানিয়েছে, রাশিয়ার পরবর্তী টার্গেট হবে ক্রামাতর্স্ক ও স্লোভিয়ানস্ক শহর। বাখমুত থেকে সরাসরি এই শহর দুটিতে হাইওয়ে আছে। এই হাইওয়ের আশেপাশেও ব্যাপক জনবসতি রয়েছে। তবে বাখমুতকে রক্ষা করতে গিয়ে এই বিপুল পরিমাণ ইউক্রেনীয় সেনা ফাদে পড়তে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও জেলেনস্কি বলেন, কম্যান্ডাররা আমাকে এমন কিছুই জানাননি। গতকালই আমি চিফ অব স্টাফের সঙ্গে বৈঠক করলাম। তারা সবাই আমাকে বলেছেন, কেনো আমাদের বাখমুতে শক্ত হয়ে থাকতে হবে। তবে আমাদের সেখানে থাকা সেনাদের জীবন নিয়েও চিন্তা করতে হবে।