আওয়ামী লীগ নির্বাচন ‘অংশগ্রহণমূলক’ করবে বিএনপি না এলেও যেভাবে
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ মার্চ ২০২৩, ১১:৪৪:৪৯ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করার জন্য দেশের ভেতরে এবং উন্নয়ন-সহযোগী কিংবা প্রভাবশালী দেশগুলোর কাছ থেকে একধরনের চাপ আছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উপর।
জানা যায়, বিএনপি শেষ পর্যন্ত না এলেও নির্বাচনকে ‘অংশগ্রহণমূলক’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। সেটা এভাবে যে, দল মনোনীত প্রার্থীর পাশাপাশি প্রতিটি আসনে অন্তত দুজন করে ডামি প্রার্থী দেওয়ার কৌশলকে প্রাধান্য দিচ্ছে। অতীতে জাতীয় এবং স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়েও যারা পরবর্তীকালে ক্ষমা পেয়েছেন, তারাও দলের অনুমতি নিয়ে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পেতে পারেন। এছাড়া নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পেতে পারেন দলের ক্ষমাপ্রাপ্ত বহিষ্কৃত নেতারাও।
ক্ষমতাসীন দলের একাধিক সংসদ সদস্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত ৭ ফেব্রুয়ারি সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে আগামী নির্বাচনে ডামি প্রার্থী দেওয়ার বিষয়টি প্রথম আলোচনায় আসে।
কোন আসনে কাকে কাকে ডামি প্রার্থী করা যায়, সে বিষয়ে এখন থেকেই ভাবতে দলীয় এমপিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ঐ বৈঠকে। নিজেদের দাবিতে অটল থেকে বিএনপি শেষ পর্যন্ত ভোটে নাও আসতে পারে, অথবা কৌশলগত কারণে প্রথমে মনোনয়নপত্র দাখিল করে পরে প্রত্যাহার করে নিতে পারে—এমন দুটি সম্ভাবনা মাথায় রেখেই ডামি প্রার্থী দেওয়ার কৌশল নিয়ে ভাবছে আওয়ামী লীগ।
জানা গেছে, অতীতে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েও এবং দল থেকে বহিষ্কারের পর যারা ক্ষমা পেয়েছেন, তারা এবং ডামি প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থীর মোড়কে। বিএনপি না এলে নির্বাচনকে দেশে-বিদেশে অংশগ্রহণমূলক দেখাতে যেহেতু অধিক প্রার্থিতাকে উৎসাহিত করা হবে, সেই সুযোগে সিংহভাগ আসনে আওয়ামী লীগের অনেকে দলের অনুমতি না পেলেও ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হতে পারেন। দলের কাছে ‘বিদ্রোহী’ হলেও, নির্বাচনে তাদেরও পরিচয় হবে ‘স্বতন্ত্র’। এছাড়া ভোটের মাঠে প্রতিযোগিতায় দেখা যেতে পারে ছোট-মাঝারি-নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত-নামসর্বস্ব অনেক দলের প্রার্থীকে। তাদের কেউ থাকবেন দলীয় প্রতীকে, কেউ থাকবেন ‘স্বতন্ত্র’ পরিচয়ে। সব মিলিয়ে একেকটি আসনে গড়ে প্রার্থী-সংখ্যা হতে পারে ৮ থেকে ১০ জন।
আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য এই কৌশল শেষ পর্যন্ত বাস্তবে রূপ নিলে এবং প্রতিটি আসনে গড়ে ৮-১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বী হলে, তখন নির্বাচনকে ‘অংশগ্রহণমূলক’ প্রমাণ করতে কোনো জোটের কিংবা রাজনৈতিক মিত্রও প্রয়োজন নাও হতে পারে ক্ষমতাসীনদের।