শবেমেরাজ শনিবার দিবাগত রাতে
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:১৬:২০ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: পবিত্র শবেমেরাজ শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি)। এদিন দিবাগত রাতে মহান রাব্বুল আলামিনের রহমত কামনায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদে-মসজিদে, নিজগৃহে ধর্মীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কোরআনখানি, জিকির-আজগার এবং ইবাদত-বন্দেগীর মধ্যদিয়ে পবিত্র শবে মেরাজ উদযাপন করবেন।
ফার্সি শব্দ ‘শব’ অর্থ রাত। আর আরবি ‘মিরাজ’ অর্থ ঊর্ধ্বগমন। ফার্সি শব-ই-মিরাজ বাংলায় হল শবেমেরাজ। আর তাই ‘শবেমেরাজ’ অর্থ ঊর্ধ্ব গমনের রাত। মুসলমানদের ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী, ২৬ রজব দিবাগত রাতে ঊর্ধ্বাকাশে ভ্রমণ করে মহানবী হজরত মোহাম্মদ (স.) আল্লাহতা’য়ালার সাক্ষাৎ লাভ করেছিলেন। এ বছর সেই রাতটি পড়েছে ১৮ ফেব্রুয়ারি।
শবে মেরাজ মুসলমানদের কাছে বিশেষ মর্যাদার। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল ইবাদত বন্দেগীর মধ্য দিয়ে এই মূল্যবান রাত কাটান। অনেকে নফল রোজাও রাখেন এদিন। এই মেরাজের মধ্য দিয়েই নামাজ মুসলমানদের জন্য ফরজ করা হয়। এ রাতেই প্রতিদিন ৫ বার নামাজ আদায় করার বিধান নিয়ে আসেন মহানবী।
মেরাজের বিস্ময়কর সফরে হজরত আদম (আ.), হজরত মুসা (আ.) ও হজরত ইবরাহীম (আ.)সহ অন্য নবীদের সঙ্গে সালাম বিনিময় হয় মহানবীর (সা.)। বাইতুল মুকাদ্দাসে সব নবী ও ফেরেশতাদের নামাজের ইমামতি করেন তিনি। এ ছাড়াও স্বচক্ষে জান্নাত-জাহান্নামের চিত্র দেখেন এবং আরশে আজিমে পৌঁছে আল্লাহর দিদার লাভ করেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তিনি সেই পবিত্র সত্তা, যিনি বান্দাকে তাঁর নিদর্শনগুলো দেখানোর জন্য রাত্রিকালে ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত। যার চতুর্পাশ বরকতময়, নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।’ (বনি ইসরাইল : আয়াত ১)
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, মেরাজের রাতে রাসুল (সা.) মক্কায় উম্মে হানি বিনতে আবু তালিবের ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। হঠাৎ হজরত জিবরাইল (আ.) এসে রাসুল (সা.)কে মসজিদে হারামে নিয়ে যান। যেখানে তাঁর বুক বিদীর্ণ করে জমজম কূপের পানি দিয়ে সিনা ধুয়ে পরিষ্কার ও শক্তিশালী করা হয়। তারপর সেখান থেকে তাকে বোরাকে করে প্রথমে বাইতুল মুকাদ্দাস ও সেখান থেকে রফরফে করে ঊর্ধ্বাকাশে নিয়ে যাওয়া হয়।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে, পবিত্র শবে মেরাজ উপলক্ষে শনিবার দুপুর দেড়টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মুকাররাম জাতীয় মসজিদে ‘পবিত্র শবে মেরাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহা. বশিরুল আলম। আলোচক হিসেবে থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. আবদুল কাদির।




