কেমুসাসের সাহিত্য আসর: ‘রাজনৈতিক প্রভাবই ভাষার ভবিষ্যৎ নির্ণয় করে’
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৫৪:৪১ অপরাহ্ন
সিলেট অফিস: ‘সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রভাবই ভাষার ভবিষ্যৎ নির্ণয় করে। ভাষার টিকে থাকা বা না থাকার ব্যাপারটা চর্চায়। যে ভাষার চর্চা যত বেশি হবে তার আধিপত্য ততটাই বিস্তৃত হবে। মানুষের যেমন জন্ম-মৃত্যু আছে, ভাষারও তেমন জন্ম ও মৃত্যু হয়। ভাষার সংস্কার ও বিবর্তন স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। ভাষা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রভাবের প্রয়োজন। যেমন আমরা ইংরেজি ভাষার ক্ষেত্রে দেখি। রাজনৈতিক প্রভাবে মরে যাওয়া ভাষা হিব্রু পুনরায় জেগে উঠেছে। ভাষা সব সময় ত্রুটিযুক্ত; ত্রুটিমুক্ত নয়।’ বলেছেন গবেষক কবি, অনুবাদক ও অনুপমনিউজটোয়েন্টিফোরের নির্বাহী সম্পাদক সারওয়ার চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে ১১৪৩তম সাপ্তাহিক সাহিত্য আসরে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আরবি ভাষা আগে সৌদি আরবের হেজাজ অঞ্চলের একটি ছোট গোত্রের ভাষা ছিল। ইসলাম ধর্মের সাংস্কৃতিক প্রভাবে ভাষাটির অগ্রগতির ফলে সপ্তম শতকে মিশরের ‘কপটিক’ ভাষা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যায়। এভাবে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর বহু প্রতিষ্ঠিত ভাষা বিলুপ্ত হয়েছে। হিব্রুর আগের আরামায়িক ভাষা মরে গেছে। ইংল্যান্ডের কর্নিশ মারা গেছে। এ অঞ্চলের লিংগুয়া ফ্রাংকা সংস্কৃত ভাষাটি এখন মৃতপ্রায়। ভাষা ও সংস্কৃতির প্রভাবকে ধরে রাখতে হলে চর্চার কোনো বিকল্প নেই। কলকাতার সুতানুটি গ্রামের আঞ্চলিক ভাষাটি প্রমিত ভাষা হয়েছে ব্রিটিশ ও ওই অঞ্চলের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সাংস্কৃতিক প্রভাবে।
কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক মাহবুব মুহম্মদের সভাপতিত্বে ও আতিক হাসান মিল্টনের পরিচালনায় আসরে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী লেখক সোনিয়া কাদের, কেমুসাসের সহ-সভাপতি আফতাব চৌধুরী। তাছাড়া জার্মান প্রবাসী সামছুল কবির চৌধুরী সাকি স্মৃতিচারণমুলক বক্তব্য রাখেন।
আসরে স্বরচিত লেখাপাঠ করেন, ছয়ফুল আলম পারুল, সিরাজুল হক, লুৎফা আহমদ লিলি, সামিয়া আফরিন, জুবের আহমদ সার্জন, জাহেদ হোসেন, মকসুদ আহমদ লাল, শরিফ হোসেন, সাজেদুর রহমান ও সাইয়্যিদ মুজাদ্দিদ।
আসরের শুরুতে কোরআন তিলাওয়াত করেন মাওলানা জাহিদ হোসেন।