চুনারুঘাট: ১০ বীর নিবাসের নির্মাণ কাজ বন্ধ যে কারণে
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:২০:৩৭ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ১০টি বীর নিবাসের নির্মাণ কাজ বরাদ্দ না পাওয়ায় থেমে আছে। দীর্ঘদিন যাবত কাজ বন্ধ থাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারগুলো অস্থায়ী ঘরে খুব কষ্টে দিনযাপন করছে।
এরই মধ্যে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্প্রতি মারা গেছেন। কাজ সময়মতো না হওয়ার কারণে বীর নিবাসে না ঘুমানোর আক্ষেপ নিয়েই তিনি চলে গেলেন।
যারা ঘরের অপেক্ষায় তারা সামনে ঝড়বৃষ্টির সময় আরও কঠিন দুর্ভোগে পড়বে এসব বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার। ২০২২ সালের জুলাই মাসে দুটি প্যাকেজে দুজন ঠিকাদার উপজেলায় ১০টি বীর নিবাসের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
পিডব্লিউডি’র ২০১৮ সালের রেট সিডিউল অনুযায়ী প্রত্যেকটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ১৪ লাখ ১০ হাজার ৩শ ৬২ টাকা। ২০২১ সালে দরপত্র হলেও কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের জুলাই মাসে। দুমাসের মধ্যেই ঘরের ছাদ লেভেল পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
প্রকল্পের নীতিমালা অনুযায়ী লিন্টেল পর্যন্ত বাস্তবায়ন করে ঠিকাদারগণ যথারীতি ২৫ শতাংশ বিল দাখিল করেন। কিন্তু বরাদ্দ নেই বলে অদ্যাবধি বিল পাননি ঠিকাদারগণ।
এছাড়া বৈশ্বিক মহামারিসহ বিভিন্ন কারণে ধাপে ধাপে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে গেলেও সিডিউল হালনাগাদ করা হয়নি। এ অবস্থায় বীর নিবাসের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের অস্থায়ী ঘরে খুব কষ্টে দিন যাপন করছেন। এরই মধ্যে গত ১৬ জানুয়ারি উপজেলার রানীগাঁও ইউনিয়নের পাচারগাঁও গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ মিয়া মারা যান। বীর নিবাসে না থাকার আক্ষেপ নিয়েই তিনি না ফেরার দেশে চলে গেলেন। বর্তমানে তার পরিবার একটি ভাঙা ঘরে খুব কষ্টে দিনযাপন করছে।
প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে কবির মিয়া জানান, আমরা একটি ভাঙা ঘরে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছি। সামনে ঝড়ের সময় কোথায় থাকবো জানি না। এদিকে প্রকল্প বাস্তবায়নে পত্রিকায় টেন্ডারের বিল, সম্মানী এবং কোন প্রকার কন্টিজেন্সি এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। নেই প্রকল্প থেকে তদারকির কোন ব্যবস্থা।
এবিষয়ে সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. সামাদ জানান, বরাদ্দ না থাকায় ঘরের কাজ বন্ধ রয়েছে। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার পরিজন অত্যন্ত কষ্টে রয়েছে। তিনি দ্রুত বরাদ্দ দিয়ে ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ করার দাবি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প কমিটির সভাপতি সিদ্ধার্থ ভৌমিক জানান, দ্রুত বরাদ্দের জন্য আমরা প্রকল্প পরিচালকের বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ আসলেই দ্রুত কাজ শেষ করা হবে।