র্যাংকিংয়ে দেশসেরা সিলেট ওসমানী হাসপাতাল
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ৯:৫৫:২১ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্যে হাসপাতাল আছে ২৯টির। এসব সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বরাবরই রোগীর চাপ থাকে বেশি। প্রতিদিন রোগীও ভর্তি হচ্ছে শয্যা সংখ্যার কয়েকগুণ। হাসপাতালগুলোর স্বাস্থ্যসেবার মান নিয়ে সরকারিভাবে নিয়মিত র্যাংকিং করে আসছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সর্বশেষ র্যাংকিং ১৭টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে করা হয়েছে।
তাতে দেখা গেল, সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোর মধ্যে র্যাংকিংয়ে এখন শীর্ষ স্থানে রয়েছে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এর পরের অবস্থানে রয়েছে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এছাড়া তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
রোগীর বাড়তি চাপ নিয়েই নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ২০২০ সালে হাসপাতালটিতে বেড অকুপেন্সি রেট বা শয্যার বিপরীতে রোগীর হার ছিল ১৭৭ শতাংশ। আগের বছর তা ২২০ শতাংশও ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এখানকার শয্যা সংখ্যা ৯০০ হলেও সব সময় রোগী ভর্তি থাকছে আড়াই হাজারের কাছাকাছি। জরুরি ও বহির্বিভাগ মিলিয়ে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসছেন গড়ে তিন হাজারের মতো রোগী। আবার হাসপাতালটিতে রয়েছে জনবল সংকটও।
এমন সংকটের মধ্যেও হাসপাতালের চিকিৎসকরা আন্তরিকতার সঙ্গে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন দাবি করে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বাস্থ্য সুবিধা ও সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে নিয়মিতভাবেই সচেষ্ট থাকছেন তারা। এখানে অনেক কম খরচে কার্ডিয়াক এনজিওগ্রাম, কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস, ক্যান্সার আক্রান্তদের রেডিওথেরাপিসহ জটিল রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা করতে পারছেন। শিশু স্বাস্থ্যসেবার মানও ভালো। সম্প্রতি হাসপাতালের চার শয্যার ডায়ালাইসিস সেন্টারকে ২৪ শয্যায় নেয়া হয়েছে। এখানে দিনে ৭০ জনকে ডায়ালাইসিস সেবা দেয়া সম্ভব।
হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘সারা দেশেই স্বাস্থ্যসেবায় লোকবলের সংকট রয়েছে। তবে এর মধ্যেও আমরা সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের চিকিৎসকরা অত্যন্ত আন্তরিক হওয়ায় সেবাপ্রত্যাশীরা ভালো সেবা পাচ্ছেন। জনবল সংকট দূর করা গেলে সেবার মান আরও ভালো হবে। এখানে যেসব সেবা দেয়া হয়, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সেবা। যারা জন্মগতভাবে বধির, তাদের কানের ভেতর এ ডিভাইস লাগানো হয়। ঢাকার বাইরে এ সেবা আর কোনো হাসপাতালে দেয়া হয় না। এরই মধ্যে আমরা ২৮টি ককলিয়ার ইমপ্লান্ট করেছি। গত ছয় মাসে আগে যাদের আমরা ইমপ্লান্ট করেছিলাম তাদের মধ্যে দুটি শিশু এখন কথাও বলতে পারছে। আমরা সেবার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।’




