মালয়েশিয়ায় বাঙ্গালী সংস্কৃতি বিস্তারে মামা শিল্পীগোষ্ঠী
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ৯:৫২:৫৫ অপরাহ্ন
আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া: বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে বাংলা সংস্কৃতির চর্চা। প্রবাসী বাঙালিরা সঙ্গে নিয়ে আসে নিজ দেশের ভাষা, সংস্কৃতি, আচার আচরণ, ধর্ম ইত্যাদি।
আর খুঁজে ফেরে নিজ দেশের সবকিছু। এ চাহিদা থেকেই গড়ে ওঠে বিভিন্ন দেশের নানা সংগঠন। মালয়েশিয়ার বৈচিত্রমন্ডিত সমাজ ও সাংস্কৃতিক পরিবেশে দেশীয় সংস্কৃতি চর্চায় সদা নিবেদিত রয়েছে মামা শিল্পীগোষ্ঠী।
দীর্ঘ দিনের অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফসল হিসেবে সংগঠনটি প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটি বৃহৎ পরিবারে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন দিবসের পাশাপাশি মালয়েশিয়ার বিভিন্ন দিবসেও মামা শিল্পীগোষ্ঠী দেশিয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।
মালয়েশিয়ায় চীনা নববর্ষ উপলক্ষে চলছে নানা আয়োজন। চীনা নববর্ষের এ আয়োজনের মধ্যে মামা শিল্পীগোষ্ঠী, ২৩ জানুয়ারি কুয়ালালামপুরের হোটেল পুডু প্লাজা বলরোমে আয়োজন করে দেশীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। সংগঠনের সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে প্রথম পর্বে বক্তব্য রাখেন, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দাতুশ্রী কামারুজ্জামান কামাল। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘ দশ বছর ধরে মামা শিল্পীগোষ্ঠী, বাংলা সাংস্কৃতি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে, আমার বিশ্বাস ভবিষ্যতেও মামা শিল্পীগোষ্ঠী প্রবাসী বাঙ্গালীদের মাঝে নিজস্ব সংস্কৃতি ও সামাজিক কর্মকান্ডকে আরও ব্যাপকভাবে বিস্তৃত করবে, যাতে প্রবাসে থেকেও বাঙালিরা নিজস্ব ভুবনকে ফিরে পায়। ভবিষ্যতে এই সংগঠনের যেকোনো কর্মকান্ডে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন তিনি।
সংগঠনের উপদেষ্টা মালয়েশিয়ান নাগরিক ইঞ্চি মোহাম্মদ আলী। আলী তার বক্তব্যে বলেন, মালয়েশিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে বাংলা সাংস্কৃতি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে মামা শিল্পীগোষ্ঠী। আমি সংগঠনের উপদেষ্টা না হলে বুঝতেই পারতাম না তাদের মধ্যে কতটা দেশপ্রেম রয়েছে। তারা নিজেদের কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয় করেও মালয়েশিয়ায় বাংলা সাংস্কৃতিকে প্রচারে যেমন সচেষ্ট রয়েছেন ঠিক তেমনি মালয়েশিয়ার বিভিন্ন সামাজিক কাজে রয়েছে তাদের অংশগ্রহণ। আমি উত্তরোত্তর এই সংগঠনের সাফল্য কামনা করছি।
মামা শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা, এমদাদুল হক সবুজ বলেন, ২০১৩ সালের প্রথম দিকে যে উদ্দেশ্য নিয়ে মামা শিল্পীগোষ্ঠী দেশীয় সাংস্ক্রতিক চর্চা নিয়ে যাত্রা শুরু করে। তা এখনও পুরোপুরি পূরণ হয়নি। সকলের আন্তরিক সহযোগিতা পেলে প্রবাসে স্বপ্নের কাজগুলো সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন বলে তার দৃঢ় বিশ্বাস। মামা শিল্পীগোষ্ঠী শুধু সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডই নয় সামাজিক ও মানবিক কাজেও এগিয়ে আসতে পারবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সোনাহর খান রশিদ, দাতুক শিবম (শিবা), দাতুক চন্দ্রন, মি.অং তিন সাং আই সেলিনা ইয়াপ, রাশেদ বাদল, বঙ্গবন্ধু পরিষদ মালয়েশিয়ার সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, মামা শিল্পীগোষ্ঠী সাধারণ সম্পাদক দৌলত আহমেদ।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল সম্মাননা প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সামাজিক কর্মকান্ডে বিশেষ অবদানের জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে গুণিজনদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এর পরই শুরু হয় অসীমবকুমার রায় ও তার দলের বিশেষ গীতি আলেখ্য। পরে চায়নার কন্ঠশিল্পী মি হাননেস্ট, কলকাতার শিল্পী সৌমিনী রায় চৌধুরী ও বাংলাদেশের বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী হাসান মাহমুদ সংগীত পরিবেশন করেন।