দেশে শবে মেরাজ ১৮ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:০৯:৩৪ অপরাহ্ন
অনুপম প্রতিবেদক: দেশের আকাশে রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে। চাঁদের হিসাবে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে পবিত্র শবে মেরাজ।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুনিম হাসান।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় ১৪৪৪ হিজরি সনের পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়গুলো, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৪ হিজরি, ৯ মাঘ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ খ্রি. সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।
এজন্য মঙ্গলবার থেকে পবিত্র রজব মাস গণনা শুরু হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, আগামী ২৬ রজব ১৪৪৪ হিজরি, ১৮ ফেব্রুয়ারি (রোববার) দিবাগত রাতে পবিত্র শবে মেরাজ পালিত হবে।
দেশে লাইলাতুল মেরাজের দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানে এ দিন ঐচ্ছিক ছুটি।
আরবি শব্দ ‘লাইলাতুল’ অর্থ রাত, আর ‘মেরাজ’ অর্থ ঊর্ধ্বগমন। মুসলমানদের ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী, ২৬ রজব রাতে ঊর্ধ্বাকাশে ভ্রমণ করেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহতায়ালার সাক্ষাৎ লাভ করেছিলেন। এ বছর সেই রাতটি পড়েছে ১৮ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত। লাইলাতুল মেরাজ মুসলমানদের কাছে বিশেষ মর্যাদার। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল ইবাদত বন্দেগির মধ্য দিয়ে এ মূল্যবান রাত কাটান। অনেকে নফল রোজাও রাখেন এ দিন।
কোরআনে আল্লাহ বলেছেন-
سُبۡحٰنَ الَّذِیۡۤ اَسۡرٰی بِعَبۡدِہٖ لَیۡلًا مِّنَ الۡمَسۡجِدِ الۡحَرَامِ اِلَی الۡمَسۡجِدِ الۡاَقۡصَا الَّذِیۡ بٰرَکۡنَا حَوۡلَہٗ لِنُرِیَہٗ مِنۡ اٰیٰتِنَا ؕ اِنَّہٗ ہُوَ السَّمِیۡعُ الۡبَصِیۡرُ
‘সুবহানাল্লাজি আসরা বি আবদিহি লাইলাম মিনাল মাসজিদিল হারামি ইলাল মাসজিদিল আকসাল্লাজি বারাকনা হাওলাহু লিনুরিয়াহু মিন আ ইয়াতিনা ইন্নাহু হুওয়াস সামিউল বাসির (সূরা বনি ইসরাইল : ১।
পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রি বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যান্ত-যা র চার দিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি যাতে আমি তাঁকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনশীল।




