কিডনি সুস্থ রাখার খাবার
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:১০:১২ অপরাহ্ন
অনুপম স্বাস্থ্য ডেস্ক: শরীরকে সুস্থ ও সচল রাখে কিডনি। তাই এই অঙ্গের সুস্থতা আপনার জন্যই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
কিডনি সুস্থ রাখতে খাবার তালিকায় পরিবর্তন আনা জরুরি। গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু খাবার নিয়মিত খেলে শরীরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যা কিডনির কোনো ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা তো কমায়ই, সেই সঙ্গে কিডনি ফাংশনের এত মাত্রায় উন্নতি ঘটায় যে রোগভোগের আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
যেসব খাবার কিডনি ফাংশন বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে সেগুলো হলো-
দারুচিনি
রক্তে শর্করার মাত্রা যাতে কোনোভাবে বৃদ্ধি না পায় সেদিকে খেয়াল রাখে এই প্রকৃতিক উপাদানটি। সেই সঙ্গে কিডনি ফাংশনারেও উন্নতি ঘটায়।
আপেল
আপেল ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবারের উৎস। এতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা খারাপ কলস্টেরল, হৃদরোগ, ক্যানসার এবং ডায়াবেটিস হ্রাস করতে সহায়তা করে। রোজ আপেল খেলে কিডনির সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পারেন। আপেল কাঁচা বা রান্না করে খাওয়া যেতে পারে।
বাঁধাকপি
এটি শীতকালীন সবজি। বাঁধাকপিকে অনেকে পাতাকপি নামেও চেনে। দামে সস্তা তেমনি পুষ্টিগুণেও ভরপুর স্বাদে ও গুণে অতুলনীয় সবজিটি। কিডনি রোগীদের জন্য বেশ উপকারী এ সবজিটি ক্যানসার প্রতিরোধ করে। বাঁধাকপি কিডনি সমস্যা প্রতিরোধেও ভালো কাজ করে। ডায়ালাইসিস করেন যারা তাদের কাঁচা বাঁধাকপি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
ফুলকপি
ফুলকপি হলো কিডনিবান্ধব ক্রুসিফেরাস সুপারফুড যা ভিটামিন-ই, ফোলেট এবং ফাইবার সমৃদ্ধ উৎস। এটিতে এমন যৌগগুলো রয়েছে যা লিভারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং দেহে টক্সিনগুলো নিরপেক্ষ করে। ফুলকপি সেদ্ধ, কাঁচা, ডিপ হিসাবে বা সালাদ হিসাবে খাওয়া যেতে পারে।
ক্যানবেরি
চেরির মতো এই ফলটিতেও রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন ‘সি’ ও ম্যাগনেশিয়াম। আর যেমনটা ইতিমধ্যেই জেনে ফেলেছেন যে এই দুটি উপাদান কিডনির ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
অলিভ অয়েল
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র অনুসারে এই তেলটির অন্দরে উপস্থিত নানাবিধ আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড কিডনি ফাংশনের উন্নতি ঘটাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
পেঁয়াজ ও রসুন
কিডনির ক্ষমতা বাড়াতে এই দুটি সবজি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে পেঁয়াজ এবং রসুনের মধ্যে কুয়েরসেটিন নামক একটি উপাদান থাকে, যা কিডনিকে বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদানের হাত থেকে রক্ষা করে।
চেরি
এই ফলটিতে উপস্থিত ভিটামিন ‘সি’, ভিটামিন ‘কে’, ফলেট, ভিটামিন বি৬ ও ম্যাগনেশিয়াম শরীরে প্রবেশ করার পর কিডনি ফাংশানের মারাত্মক উন্নতি ঘটায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে শুরু করে। আর যত ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে, তত আর্থ্রাটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
বাদাম
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে কিডনি স্টোনের আশঙ্কা কমানোর পাশাপাশি শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এই বাদামজাতীয় খাবার। বিশেষত কিডনি বিনস বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।