ব্রিটিশ রাজপরিবার নিয়ে হইচই হওয়ার বইটি প্রকাশ পাচ্ছে ১০ জানুয়ারি
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ৬:৪৭:০৯ অপরাহ্ন
অনুপম প্রতিবেদক: সারাবিশ্বে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে প্রিন্স হ্যারির ‘স্পেয়ার’। ৪১৬ পৃষ্ঠার বইটি ব্রিটিশ রাজপরিবার নিয়ে মারাত্মক হইচই ফেলে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রকাশক কোম্পানি পেঙ্গুইন নিশ্চিত করেছে বইটি ১০ জানুয়ারি প্রকাশ পাচ্ছে বিশ্বব্যাপী।
ব্রিটিশ রাজপরিবার ছেড়ে যাওয়া প্রিন্স হ্যারির বহুল প্রত্যাশিত আত্মজীবনী ‘স্পেয়ার’। ইতোমধ্যে বইটির একটি কপি হাতে পেয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান। তাতে বলা হয়েছে, আত্মজীবনীতে বড় ভাই প্রিন্স অব ওয়েলস উইলিয়ামের বিরুদ্ধে শারীরিকভাবে জখমের অভিযোগ এনেছেন হ্যারি।
ব্রিটিশ রাজপরিবারের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে প্রিন্স হ্যারির যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হওয়ার নেপথ্য কারণ বইটিতে থাকবে বলে জানিয়েছে পেঙ্গুইন র্যানডম হাউজ।
অভিনেত্রী মেগান মার্কেলকে বিয়ে করায় দুই ভাইয়ের সম্পর্ক ভেঙে যায় বলে আত্মজীবনীতে উল্লেখ করেছেন প্রিন্স হ্যারি। ২০১৯ সালে লন্ডনের রাজপ্রাসাদের ওই সংঘাতের কথা উল্লেখ করে হ্যারি লিখেছেন, মেগানকে ‘বাজে’, ‘বদরাগী’ ও ‘বেপরোয়া’ বলতেন উইলিয়াম।
তাকে শারীরিকভাবে উইলিয়াম আঘাত করেন বলেও উল্লেখ করেছেন প্রিন্স হ্যারি। বইতে প্রিন্স হ্যারি লিখেছেন, একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে এ সংঘাত চরম আকার ধারণ করে।
হ্যারি লিখেছেন, উইলিয়াম ‘আমার কলার চেপে ধরে, গলার চেইন ছিঁড়ে ফেলে এবং…মেঝেতে ছিটকে ফেলে দেয়’। প্রিন্স হ্যারির আত্মজীবনী ‘স্পেয়ার’-এর পৃষ্ঠা ছয়ের বরাত দিয়ে তা জানিয়েছে গার্ডিয়ান।
প্রিন্স হ্যারি ও প্রিন্স উইলিয়াম
উল্লেখ্য, গত বছর বিখ্যাত টেলিভিশন তারকা অপরা উইনফ্রের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে বসেছিলেন প্রিন্স হ্যারি। সেই সাক্ষাৎকারে তিনি রাজপরিবার ও ভাইবোন সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। এ ছাড়া নেটফ্লিক্সের একটি তথ্যচিত্রে হ্যারি ও ৪১ বছর বয়সী মেগান তাদের যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় পাড়ি জমানোর নেপথ্যের কারণ বলেছেন। সেই তথ্যচিত্রে তারা রাজপরিবারের সঙ্গে তাদের নানা নেতিবাচক অভিজ্ঞতা অকপটে প্রকাশ করেছেন।
প্রিন্স হ্যারির আত্মজৈবনিক বই ‘স্পেয়ার’ থেকে প্রাপ্ত আয়ের কিছু অংশ ‘সেন্টাবালে’ এবং ‘ওয়েলচাইল্ড’ সহ যুক্তরাজ্যের কয়েকটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান দান করা হবে।
তার মধ্যে উপরের দুইটি প্রতিষ্ঠানের জন্য যথাক্রমে ১৫ লাখ মার্কিন ডলার এবং তিন লাখ পাউন্ড দান করা হবে বলে নিশ্চিত করেছে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান।
২০২১ সালে প্রিন্স হ্যারির স্মৃতিকথা লেখার ঘোষণা আসে। ওই সময়ে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার স্মৃতিকথায় তার জীবনের ‘উত্থান এবং পতন’ উভয়ের কথাই থাকবে এবং তিনি ‘সঠিক ও সম্পূর্ণ সত্যবাদী’ থাকবেন।