৫২তম বিজয় দিবস উপলক্ষে তারেক রহমানের বার্তা
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ ডিসেম্বর ২০২২, ৫:১৭:২৭ অপরাহ্ন
অনুপম প্রবাস ডেস্ক: বাংলাদেশের ৫২তম বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিজয় দিবসের এই বার্তায় তারেক রহমান দেশবাসীকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে তৎকালীন মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে যে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল লাখো মানুষের আত্মত্যাগ আহাজারো মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে, মুক্তিযোদ্ধাদের অসম সাহসিকতায় ১৯৭১ সালের এই দিনে অর্জিত হয়েছিল বাংলাদেশের সুমহান বিজয়। বিজয়ের এই দিনে আমি সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা যে স্বপ্ন নিয়ে দেশটি স্বাধীন করেছিলেন হানাদারবাহিনীকে হটিয়ে দিয়ে যে গৌরবজনক বিজয় অর্জন করেছিলেন সেই বাংলাদেশটি বর্তমানে মাফিয়া চক্রের কবলে পড়ে হারাতে বসেছে বিজয়ের সুমহান মর্যাদা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিল সাম্য-মানবিক মর্যাদা-সামাজিক সুবিচার। তবে দুর্ভাগ্য জনক হলেও সত্য স্বাধীনতা পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্র ও সমাজে মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। মানুষের বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল। দেশে দুর্নীতি, গুম, খুন, অপহরণ, নৈরাজ্য কায়েম করেছিল। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সকল নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। অপশক্তিকে পরাজিত করে স্বাধীনতার ঘোষকের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ফিরেছিল সমৃদ্ধির ধারায়। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের পরাজিত অপশক্তি মহাজোটের নামে একজোট হয়ে আজ আবারো দেশে সর্বক্ষেত্রে নৈরাজ্য কায়েম করেছে। আওয়ামী অপশক্তির নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে আজ আবারো ৭৫ এর ৭ নভেম্বরের চেতনায় উজ্জীবিত বাংলাদেশ। মাফিয়া চক্রের সকল বাধা মোকাবেলা করে নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে এবং ভোটাধিকারের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লাখো-কোটি মানুষ নেমে এসেছে রাজপথে। বিএনপির আহবানে সাড়া দিয়ে মানুষের অধিকার দাবিতে সম্প্রতি ঢাকাসহ সারাদেশে ১০টি বিভাগীয় গণ সমাবেশে হাজির হয়ে মুক্তিকামী জনগণ বার্তা দিয়েছে, মাফিয়া চক্রের সময় শেষ জনগণের বাংলাদেশ।
তারেক রহমান বলেন, দেশের জনগণ সাক্ষী, গণতন্ত্রকামী মানুষ যাতে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশগুলোতে যোগ দিতে না পারে এ জন্য মাফিয়া সরকার সকল রকমের অপচেষ্টা চালিয়েছিল। দলীয় ক্যাডার আর পুলিশের ইউনিফর্ম পরিয়ে একটি সন্ত্রাসী চক্রকে জনগণের পেছনে লেলিয়ে দিয়েছিলো। সমাবেশ বানচাল করতে এই সন্ত্রাসী চক্র সমাবেশে পাখির মতো গুলি করে বিএনপির কয়েকজন নেতা কর্মীকে হত্যা করেছে। অসংখ্য মানুষকে আহত করেছে। বিএনপির মহাসচিব, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং দলের সিনিয়র নেতৃবৃদসহ সারাদেশে শত শত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে কারাবন্দি করেছে। সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কিংবা গায়েবি মামলা দিয়ে নির্যাতন ও হয়রানি অব্যাহত রেখেছে। এতকিছু করেও নিজেদের অধিকার আদায়ের দাবিতে সোচ্চার মুক্তিকামী মানুষকে এই ফ্যাসিস্ট সরকার দমিয়ে রাখতে পারেনি।
তিনি বলেন, চলমান গণ আন্দোলন দেশকে নৈরাজ্য মুক্ত করা, নাগরিকদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতা সুরক্ষা করার আন্দোলন। এই আন্দোলনে জনগনের বিজয় সুনিশ্চিত, ইনশাআল্লাহ।