২৭ দফা ঘোষণা করবে সোমবার বিএনপি
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:৪৩:৪৭ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্র সংস্কারের ২৭ দফা রূপরেখা আগামী সোমবার ঘোষণা করবে বিএনপি।
সেদিন বিকাল ৩টায় রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
তিনি বলেন, ‘রূপরেখা ঘোষণা অনুষ্ঠানে সমমনা রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা, দল সমর্থিত সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’
দলের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের আগেই রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা ঘোষণার সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু সমাবেশের ভেন্যুর অনুমতি পাওয়া নিয়ে জটিলতা, সংঘাত ও সহিংসতা এবং দলের মহাসচিবসহ শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় তা স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত আগামী ১৯ ডিসেম্বর রূপরেখা দেওয়ার তারিখ নির্ধারিত রয়েছে। নতুন কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি না হলে ওই দিনই ঘোষণা হবে।
রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফা রূপরেখায় যা থাকছে- সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন, জাতীয় সমঝোতা কমিশন গঠন, নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনয়ন, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা প্রবর্তন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন সংশোধন, জুডিশিয়াল কমিশন গঠন, প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন, মিডিয়া কমিশন, ন্যায়পাল নিয়োগ; গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের বিচার, অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন, ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার মূলনীতির ভিত্তিতে ধর্ম পালনে পূর্ণ অধিকার ও পূর্ণ নিরাপত্তা বিধান, আঞ্চলিক বৈষম্য দূরীকরণ ও সুষম উন্নয়নে বিশেষ কর্মসূচি; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ খাতে দায়মুক্তি আইনসহ সব কালাকানুন বাতিল ও অপ্রয়োজনীয় কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিন্দু ক্রয় বন্ধ, বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া, দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সুসংগঠিত, যুগোপযোগী ও দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত করা, ক্ষমতার ব্যাপক বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকারগুলোকে অধিকার স্বাধীন ও শক্তিশালী করা, নিবিড় জরিপের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের তালিকা প্রণয়ন ও যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান, আধুনিক ও যুগোপযোগী যুব-উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ, শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাজমান নৈরাজ্য দূর করে নিম্ন ও মধ্য পর্যায়ে চাহিদাভিত্তিক শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা-ক্যারিকুলামকে প্রাধান্যসহ জিডিপির ৫ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ, ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’ এই নীতির ভিত্তিতে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রবর্তন ও জিডিরি ৫ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ, শ্রমিকদের প্রাইস-ইনডেক্স বেজড ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা ও শিশুশ্রম বন্ধ করা এবং কৃষিপণ্যের নায্যমূল্য নিশ্চিত করা।




