প্রধানমন্ত্রীর অপেক্ষায় চট্টগ্রামবাসী
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ ডিসেম্বর ২০২২, ২:২৫:২২ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: আগামীকাল রোববার চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে আওয়ামী লীগের জনসভায় আসছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জনসভাকে কেন্দ্র করে পাল্টে গেছে বন্দরনগরীর চিত্র। পুরো নগরজুড়ে করা হয়েছে সাজসজ্জা, রাতে করা হচ্ছে লাইটিং। উৎসবের আমেজ শহরের প্রতিটি প্রান্তে। কারণ, বহুদিন পর আসছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
১০ বছর আগে ২০১২ সালের ২৮ মার্চ চট্টগ্রামের এই ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রধানমন্ত্রী বিশাল জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন। আগামী ২০২৪ সালে জাতীয় নির্বাচনের আগে চট্টগ্রামে আগামীকালের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামবাসীকে বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প উপহার দেবেন। অবশ্য চট্টগ্রামবাসী না চাইতেই প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন। আর সে অনুযায়ী বৃহত্তর চট্টগ্রামের ব্যাপক ভৌত কাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে ও অনেক উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। আগামীকাল চট্টগ্রামে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্প ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনযোগ্য ৪টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
শহর ও জনসভাস্থল ঘুরে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে সংস্কার হয়েছে রাস্তা-ঘাট। বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, দেওয়াল লেখন, আলোকসজ্জা ও তোরণ নির্মাণসহ সাজসজ্জার কাজ চলছে পুরোদমে। চলছে মাইকিংসহ প্রচার-প্রচারণাও। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে উন্মুখ হয়ে আছেন চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করেছে চট্টগ্রামের সব ধরনের সেবা সংস্থাগুলো। পুরো নগরজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের প্রস্তুতি নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর আগমনের দিনে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য কাজ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এদিন চট্টগ্রামে কোনো ধরনের লোডশেডিং হবে না বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ বিতরণ চট্টগ্রাম দক্ষিণ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী এম রেজাউল করিম বলেন, পলোগ্রাউন্ড মাঠের জনসভা ঘিরে সকল বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ঠিক করা হচ্ছে। যাতে ওদিন নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেয়া যায়। এছাড়া সেদিন যদি কোনো ধরনের বড় কোনো সমস্যা না হয়, তাহলে ভোর থেকেই প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে থাকা পর্যন্ত কোনো রকম লোডশেডিং হবে না।
প্রধানমন্ত্রী যাওয়ার সম্ভাব্য সব পথে পাইপ লাইনের লিকেজ আছে কিনা তা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে, থাকলে তা সারাতে তড়িৎ ব্যবস্থা নিচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। এছাড়াও জনসভা ঘিরে খাওয়ার, গণশৌচাগারের আর নগরের রাস্তায় ছিঁটানোর জন্য পানির জোগান দিচ্ছে সংস্থাটি।
ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী আগমন ঘিরে বিশেষ প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর গমনাগমনের সম্ভাব্য সব রাস্তায় ওয়াসার পাইপ লাইন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে, যাতে কোথাও কোন লিকেজ না থাকে। এছাড়া জনসভাস্থলে সাধারণ মানুষের জন্য করা হয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা। ৪টি ট্রাকে করে জোগান দেয়া হবে জনসমাগমে আসা নেতাকর্মীদের খাবার পানি। খাবার পানির জন্য আরও ৫০টি পানির ট্যাঙ্ক বসানো হবে বিভিন্ন স্থানে। তাছাড়া পানির জন্য বসানো হচ্ছে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন দুইটি পাম্প, যা দিয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পানি সংগ্রহ করা হবে।
ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, টানা ১০ বছর পর চট্টগ্রামে জননেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের মাটিতে পা রাখছে। পলোগ্রাউন্ড মাঠে জনসভা ঘিরে ব্যাপক জনসমাগম হবে। সেখানে যাতে পানি নিয়ে কোন বিড়ম্বনায় পড়তে না হয় তাই রেলওয়ের কাছ থেকে পানি সংগ্রহ করে সরবরাহ করা হবে। আমরা চাই প্রধানমন্ত্রী নতুনভাবে, নতুন রূপে চট্টগ্রামকে আবিস্কার করুক।