সিলেটের উন্নয়নে ৭০০ কোটি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ নভেম্বর ২০২২, ৮:৫৭:১৬ অপরাহ্ন
সিলেট অফিস: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সিলেটের রাস্তাঘাটের উন্নয়নে ৭০০ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে সিলেট বদলে যাবে।
তিনি বলেন, কিনব্রিজ অনেক পুরনো হয়ে গেছে। এটা রেখে কিনব্রিজের পাশে সুরমা নদীর উপর আরেকটা ব্রিজ করা হবে। এর পরিকল্পনা শেষ করে মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলেই কাজ শুরু হবে। সেতু নির্মিত হলে নগরের যানজট অনেক কমে আসবে।
শনিবার বিকেলে প্রায় ৭২৭ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে সিলেট শহরকে যানজটমুক্ত রাখতে কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ কাজের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রায় সাড়ে ১২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সড়কটি চার লেনে উন্নীত হলে পাথরবোঝাই ট্রাকগুলো সেই সড়ক দিয়ে জাতীয় মহাসড়কে সহজেই পৌঁছাতে পারবে। এতে সিলেট নগরের যানজট কমবে এবং কমে আসবে দুর্ঘটনা। ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ব্রিটিশ আমলে সিলেট নগরের প্রাণকেন্দ্র চাঁদনিঘাট এলাকায় সুরমা নদীর উপর লোহার কাঠামোর দৃষ্টিনন্দন কিনব্রিজ নির্মাণ করেন তৎকালীন গভর্নর। টানা দুই বছর নির্মাণকাজ শেষে ১৯৩৬ সালে সেতুটি চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছিল। তৎকালীন অসম প্রদেশের গভর্নর মাইকেল কিনের নামে এই সেতুর নামকরণ হয় ‘কিনব্রিজ’।
প্রায় ৯০ বছর ধরে সচল সেতুটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন এবং সিলেট অঞ্চলে সুরমা নদীর ওপর প্রথম সেতু। এর দৈর্ঘ্য ১ হাজার ১৫০ ফুট এবং প্রস্থ ১৮ ফুট। মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেতুটি ১৯৭৭ সালে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ প্রথম দফা সংস্কার করেছিল। এরপর আর বড় ধরনের সংস্কার হয়নি। ফলে জরাজীর্ন হয়ে পড়েছে এই সেতু।
২০০৪ সালে চারদলীয় জোট সরকারের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান কিনব্রিজ ভেঙে এই স্থানে নতুন একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেন। তবে সে সমসয় ঐতিহ্য হিসেবে কিনব্রিজটি না ভাঙার দাবিতে আন্দোলন গড়ে উঠে। এরপর ঝুলন্ত সেতু প্রকল্পও ঝুলে যায়।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কুমারগাঁও-এয়ারপোর্ট সড়ক প্রকল্পে ব্যয় হবে ৭২৭ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি ‘কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)-এ অনুমোদন পায়। ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা।
সিলেটের কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়কটি বর্তমানে দুই লেনের। তবে সড়কটি বেহাল। প্রায় সাড়ে ১২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়কটি নির্মাণ করা হয় ২০১২-১৪ অর্থবছরে। পরবর্তীতে পাথরবাহী ট্রাক চলাচল, বিমানবন্দর অভিমুখীদের সুবিধা এবং পর্যটকবাহী যান চলাচলের জন্য সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার দাবি ওঠে সিলেটে। এ প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়। অবশেষে আজ সেই প্রকল্পের কাজ শুরু হলো গতকাল।




