সেই শামীমার চ্যালেঞ্জ ব্রিটিশ আদালত যে কারণে আমলে নেবে(ভিডিও)
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২১ নভেম্বর ২০২২, ১১:০৭:২৮ অপরাহ্ন
অনুপম প্রতিবেদক: সিরিয়ায় আইএস-এ যোগদানের পর ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানো শামীমা বেগমের মামলা লন্ডনের একটি আদালত পর্যালোচনা করবে। আজ সোমবারের শুনানি গত বছরের সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুসরণ করে হয়েছে যা তাকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিল।
শামীমা যুক্তরাজ্যের হোম অফিসের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে তার সম্পৃক্ততার অভিযোগে তার ব্রিটিশ পাসপোর্ট হরণ করা হয়।
তার আইনজীবীরা যুক্তি দিচ্ছেন শামীমা ‘পাচারের শিকার’। ১৫ বছর বয়সী সুন্দরি এ কিশোরীর ব্রেইনওয়াশ করে ২০১৫ সালে যুক্তরাজ্য থেকে পালিয়ে সিরিয়ায় প্রবেশ করার জন্য বাধ্য করা হয়েছিল।
শামীমার পরিবারের আইনজীবী, তাসনিম আকুঞ্জি, এএফপিকে বলেছেন, শুনানি হবে এ বিষয়ে যে তাকে ‘পাচারের শিকার হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে কিনা – বিশেষত তৎকালীন স্বরাষ্ট্রসচিব সাজিদ জাভিদ তার নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এই বিষয়গুলোতে মন দিয়েছেন কিনা’।
শামীমা শতাধিক ইউরোপীয়দের মধ্যে একজন, যাদের নিয়ে ২০১৯ সালে দায়েশের (আইএস) পতনের পর বিভিন্ন পশ্চিমা সরকারের কাছে একটি জটিল সমস্যা হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।
১৫ বছর বয়সী শামীমা, ২০১৫ সালে দুই স্কুল বন্ধুর সাথে সিরিয়ায় যাওয়ার জন্য পূর্ব লন্ডনে তার বাড়ি ছেড়েছিলেন। তিনি একজন দায়েশ যোদ্ধাকে বিয়ে করেছিলেন এবং তার তিনটি সন্তান ছিল, যাদের কেউই বাঁচেনি।
গত বছর একটি ডকুমেন্টারিতে, তিনি বলেছিলেন যে সিরিয়ায় পৌঁছে তিনি দ্রুত বুঝতে পেরেছিলেন যে দায়েশ তথাকথিত খিলাফতের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ‘মানুষকে ফাঁদে ফেলছে’।
দায়েশ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে যোগদানের জন্য ৯০০ জন ব্রিটেন থেকে সিরিয়া এবং ইরাকে ভ্রমণ করেছে বলে অনুমান করা হয়। যাদের মধ্যে ১৫০ জনের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোও তাদের নিজস্ব নাগরিকদের কীভাবে ফেরাবে তা নিয়ে লড়াই করছে।
প্রকাশ, ২০১৫ সালে আইএস-এ যোগ দেয়া শামীমা বেগম কোনোভাবেই বাংলাদেশের নাগরিক নন বলে জানিয়েছিল বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ ব্রিটেন তার নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর বাংলাদেশের তরফ থেকে এই তথ্য জানানো হয়৷ ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (হোম অফিস) অবশ্য এই ধারণা প্রকাশ করেছিল যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামীমা বেগম বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার আইনি অধিকার রয়েছে৷




