ওরা নজরদারিতে, যেকোনো মুহূর্তে গ্রেপ্তার: ডিবি প্রধান
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২১ নভেম্বর ২০২২, ৫:৫২:১৬ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের চোখে-মুখে পিপার স্প্রে করে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) কোর্টের মূল ফটকের সামনে থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা সবাই নজরদারিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন-অর-রশিদ।
তিনি বলেছেন, সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তারা সবাই নজরদারিতে রয়েছেন। যে কোনো সময় তাদের গ্রেপ্তারে সক্ষম হব। তারা যাতে পালাতে না পারে সেজন্য ইতোমধ্যে পুলিশ প্রধান সারা দেশে রেড অ্যালার্ট জারি করেছেন।
সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গতকাল রোববার মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় মোট ১২ জন জঙ্গি আসামিকে আদালতে নেয়া হয়। সেখান থেকে চার জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়। এর মধ্যে দুজনকে অন্য জঙ্গিরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের চোখে-মুখে পিপার স্প্রে ছিটিয়ে দিয়ে ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়।
তিনি আরও বলেন, ওই ঘটনার পর ডিবি, সিটিটিসি, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটসহ বিভিন্ন টিমের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে অলিগলি সব জায়গায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় আসামি ২০ জন, অজ্ঞাত ২০/২১ জন।
হারুন-অর-রশিদ আরও বলেন, ১২ জনের মধ্যে দুজন পালিয়েছে। পালাতে ব্যর্থ দুজনসহ মোট ১০ জনকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে একটা তদন্ত চলছে। সারা দেশে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। চেকপোস্ট কড়াকড়ি করা হয়েছে। আমরা সবাই অ্যালার্ট রয়েছি। আসামিরা নজরদারিতে রয়েছে। আমরা আশা করছি দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, যারা জঙ্গি আসামিদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তাদের মধ্যে পাঁচজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাঁচ সদস্যের একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নিরাপত্তায় অবহেলা ছিল কিনা – যাদের অবহেলা ছিল তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জঙ্গি আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকে। তবে কাল যেটা ঘটেছে সেটা অনাকাঙ্ক্ষিত। কর্তব্য কাজে অবহেলার কারণে পাঁচ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
টহল জোরদার ও কঠোরভাবে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও মনিটরিং করা হচ্ছে উল্লেখ করে ডিবি প্রধান বলেন, জঙ্গি আনা নেয়ার ক্ষেত্রে প্রটেকশন বাড়ানো হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। জঙ্গি আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় প্রত্যেক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক।
আইনজীবিরা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত- এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ডিবি প্রধান বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ডিএমপি কমিশনার নির্দেশনা দিয়েছেন কোর্টে যেন নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। আসামি আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে যেন টহল জোরদার করা হয়।