সিনেটে জয় পেলেও কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাতছাড়া হতে চলেছে বাইডেনের দলের
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ নভেম্বর ২০২২, ১০:৩৭:২৯ অপরাহ্ন
অনুপম আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন পার্লামেন্ট কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের দখল হারাতে চলেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দল।
একাধিক প্রদেশের গভর্নর নির্বাচনেও তারা হেরেছে।
এই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন হয়নিও যদিও, তবুও একে বাইডেনের প্রতি ধাক্কা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
সিনেটের ১০০টির মধ্যে ৩৫টি এবং হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ৪৩৫টি সাধারণ আসনের সবকটিতেই ভোট হয়েছে এ বার। সেই সঙ্গে হয়েছে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ‘ভোটদানের ক্ষমতাহীন’ ৬টি আসনের মধ্যে ৫টি এবং ৩৬টি প্রদেশ (স্টেট) ও ৩টি টেরিটরির গভর্নর নির্বাচন।
এখনও পর্যন্ত সিনেটে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীরা জিতেছেন ৪৮টি আসন। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির ঝুলিতেও ৪৮টি আসন গিয়েছে। দুটি আসন গিয়েছে নির্দলদের দখলে। বাকী দুটো সিনেট আসনে এগিয়ে রয়েছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি।
অন্যদিকে, সর্বশেষ খবরে দেখা গেছে, হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীরা ১৮২টি এবং রিপাবলিকানরা ২০১টিতে জিতেছেন। ভোট গণনার প্রবণতা বলছে, কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ এবার ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হাতছাড়া হতে চলেছে। বিদায়ী হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ছিলেন ২২০ জন ডেমোক্র্যাট সদস্য। ২১২ জন রিপাবলিকান। এবারে সেই সমীকরণ উল্টে যাচ্ছে। রিপাবিলকানরা জয়ী হতে পারে।
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাইডেন। পরাজিত রিপাবলিকানদের কাছে তাই মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলাফল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর এবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্যাপিটল হিংসা, আয়কর অনিয়ম-সহ বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচন সাধারণত একটা প্রবণতা মেনে চলে। যে দল ক্ষমতায় থাকে, সংসদে তাদের আসন কমে যায়। সেই হিসাবে সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বাইডেনের দল কিছুটা স্বস্তিতে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। এই পরিস্থিতিতে ২০২৪-এর ভোটে ফের ট্রাম্প প্রার্থী হবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হতে পারে বলে তাদের মত। ট্রাম্প আদৌ পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন কি না, তা মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানদের ফলাফলের উপর অনেকাংশে নির্ভর করবে বলে মনে করা হচ্ছিল। রিপাবলিকানরা সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ট্রাম্প হয়তো আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নাও দাঁড়াতে পারেন।