যুক্তরাজ্য: টোরিদের দল শেষ হয়ে যাবে বরিস আবার দায়িত্ব নিলে
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ অক্টোবর ২০২২, ৫:১৭:৫৮ অপরাহ্ন
অনুপম প্রতিবেদক: ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টির সিনিয়র এমপিদের সাফ কথা- বরিস জনসন ডাউনিং স্ট্রিটে নাটকীয়ভাবে আবার প্রধানমন্ত্রী হলে টোরিদের দলটি শেষ হয়ে যাবে (the end of the Conservative party)। তাদের দাবি বরিস আরও অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হবেন।
দলটির ভিতর এখন মোটা দাগে বিভক্তি আছে। অধিকাংশ চান ঋষি সুনাক আসুক।
মনোনয়নের জন্য আগামীকাল সোমবার দুপুর ২ টার সময়সীমা দেয়া হয়েছে।
ওদিকে সুনাককে সমর্থনকারী প্রাক্তন মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রীরা বলেছেন, জনসনের প্রত্যাবর্তন আর্থিক বাজারগুলোকেও অস্থির করবে, কয়েক দিনের মধ্যে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের সুদের হারে আরও তীব্র বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে।
জনসনের একজন প্রাক্তন মন্ত্রিপরিষদ সহকর্মী বলেছেন যে সুনাকের পিছনে সমর্থন জোগাড় করার জন্য মরিয়া প্রচেষ্টা চলছে। অন্ততপক্ষে তিনি আর্থিক বাজারে স্থিতিশীলতার প্রতীক হবেন এবং সুদের হার আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা হ্রাস করবেন।
লর্ড ফ্রস্ট ঋষি সুনাককে সমর্থন করার জন্য কমন্সে তার দলের সহকর্মীদের আহ্বান জানান।
তিনি বলেছিলেন যে ৩১ অক্টোবর চ্যান্সেলর জেরেমি হান্ট কর্তৃক ঘোষিত মধ্যমেয়াদী আর্থিক পরিকল্পনাটি অত্যাবশ্যক হবে। তাই জনসনের প্রত্যাবর্তনের সুযোগ দেয়া উচিত নয়।
তাছাড়া একটি সিনিয়র সূত্রমতে ‘তাহলে একটি প্রশ্ন এমন যে জনসন তার নার্সিসিজমকে দেশের স্বার্থের ঊর্ধ্বে রেখেছেন কি না’।
কেমি ব্যাডেনোচ, একজন ভবিষ্যত নেতা হিসাবে দেখে, সুনাককে সমর্থন করে উৎসাহ দিয়েছেন।
ওদিকে, জনসনের প্রত্যাবর্তনের বিরোধিতাকারী প্রায় এক ডজন এমপির একটি হার্ডকোর গ্রুপের দাবি বরিস জনসন আবার দায়িত্ব গ্রহণ করলে হুইপ পদত্যাগ করবেন।
একজন প্রাক্তন মন্ত্রী বলেছেন: “It would be the end for me. I know others who feel the same. The party has already left us behind. If Johnson returned, I would find it impossible to continue.” (দ্য গার্ডিয়ান)
উল্লেখ্য, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বরিস জনসন নির্বাচনে প্রার্থী হবার ঘোষণা দেননি। তবে তার পাঁচজন মন্ত্রী বিষয়টি সমর্থন দিয়েছেন। এছাড়া মিডিয়া রিপোর্টের পরামর্শে সোমবারের আগে প্রথম প্রার্থীতার ঘোষণা দেন হৃষি সুনাক।
এও উল্লেখ্য, যে বরিস সরকারে থেকে হৃষি সুনাক পদত্যাগ করার পরই বরিস জনসনের পদত্যাগ ত্বরান্বিত হয়। এ দুই জনের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির দ্বন্দও বেশ কড়া। সূত্র: সিএনএন, আল জাজিরা, দ্য গার্ডিয়ান




