সিলেট : হঠাৎ পরিবহন শ্রমিক আন্দোলনে অচলাবস্থা, আলোচনায় সম্মত শ্রমিক নেতারা
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৪৭:২৫ অপরাহ্ন
সিলেট অফিস : কোন পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে সড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা। পুরো সিলেটে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।
সিলেট জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মইনুল ইসলাম, সিএনজি অপটোরিকশা ম্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাকারিয়া আহমদ, হিউম্যান হুলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল মিয়া মইনসহ চার শ্রমিক নেতার নাম উল্লেখ করে ২০/৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে এ আন্দোলনে নেমেছেন শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে যানবাহন বন্ধ রেখে সিলেট নগরের বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা।
ফলে সন্ধ্যা থেকে দূরপাল্লার বাসসহ সিলেটে সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আচমকা এমন কর্মসূচিতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। অনেকেই বাসের কাউন্টারগুলোতে এসে বসে আছেন।
রাত ৮টায় নগরের উপশরহর, শাহী ঊদগাহ, বালুচর, টিলাগড়, হুমায়ন রশীদ চত্বরসহ বিভিন্ন মোড়ে পরিবহন শ্রমিকরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছেন তারা। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে সব ধরণের যান চলাচল।
শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ সুরমা থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন লেগুনা শ্রমিক মো. শাহাব উদ্দিন। মামলায় মারপিট ও টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
এই মামলার জেরেই আজ সন্ধ্যা থেকে আন্দোলনে নামেন পরিবহন শ্রমিকরা।
দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পরিবহন শ্রমিকদের দুই গ্রুপ রয়েছে। দুই গ্রুপের বিরোধের জেরে থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। একটি মামলায় পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের আসামি করা হয়েছে।
মামলা দায়েরের ৮ দিন পর আন্দোলনে নামা প্রসঙ্গে সিলেট জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মইনুল ইসলাম বলেন, মামলার বিষয়টি আমরা আজকেই জানতে পেরেছি। আজকে আমাদের কয়েকজন শ্রমিক পুলিশ কমিশনারের সাথে এ ব্যাপারে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তিনি তাদের সা্থে দুর্ব্যবহার করেছেন।
মইনুল বলেছেন, যিনি আমাদের নামে মামলা করেছেন তাকে আগেই শ্রমিক সমিতি থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। এই কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি আমাদের নামে চাদাবাজি ছিনতাইয়ের অভিযোগে মিথ্যে মামলা করেন। পুলিশও কোন তদন্ত ছাড়াই মামলাটি গ্রহণ করেন।
সর্বশেষ আপডেট
প্রশাসনের পক্ষ থেকে আলোচনার আহ্বান করা হলে শ্রমিকরা এতে সম্মতি জ্ঞাপন করছেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে আলোচনায় বসবেন পরিবহন শ্রমিক ও প্রশাসনের লোকজন।




