প্রতিষ্ঠার মাত্র ৬ বছরে জরাজীর্ণ প্রমথ চৌধুরী স্মৃতি পাঠাগার
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৩৭:৩২ অপরাহ্ন
মুরাদ হোসেন, পাবনা : ২০১৭ সালের ২০ জুলাই পাবনার চাটমোহর উপজেলার হরিপুর গ্রামে ‘প্রমথ চৌধুরী স্মৃতি পাঠাগার’ এর শুভ উদ্বোধন ও ফলক উন্মোচন করেন পাবনার তৎকালীন জেলা প্রশাসক রেখা রানি বালো।
২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পাঠাগারটি জনগণের জন্য উন্মুক্ত করেন পরবর্তী জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন।
২০২১ সালের ৪ অক্টোবর প্রমথ চৌধুরী স্মৃতি পাঠাগার পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের দু’জন বিজ্ঞ বিচারপতি। তারা হলেন মো. ওবায়দুল হাসান ও খন্দকার দিলিরুজ্জামান।
এখন এ স্মৃতি পাঠাগারে এসে হতাশ হচ্ছেন পাঠক এবং দর্শনার্থীরা। পাঠাগারের ভেতর ধুলাবালি, ময়লায় ভর্তি, মাকড়সার জাল চোখে পড়ার মতোই অধিক, নিয়মিত পরিষ্কারও করা হয়না এ পাঠাগারটি।
পাবনার বিশিষ্ট ব্যক্তি মো. মহিউদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘প্রমথ চৌধুরী স্মৃতি পাঠাগার’ পরিদর্শনে গিয়ে পাঠাগারের জরাজীর্ণ অবস্থা দেখে আমি অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি। পাঠাগারের তিনটি জানালা ও ভেতরের জানালা খোলা থাকার কারণে এর করুণ অবস্থা চোখে পড়েছে। পাঠাগারের ভেতরে মাকড়সার জাল এবং মেঝেতে ধুলোবালি দেখে মনে হয়েছে কতকাল যে সেখানে মানুষের প্রবেশ ঘটেনি!”
চাটমোহরের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রমথ চৌধুরী নাম শুনলেই পাবনার কথা উঠে আসে। তার স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য যে পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে তা শুধু এলাকাবাসীই দেখবে না, বরং প্রমথ চৌধুরীর গ্রাম দেখতে আসা দর্শনার্থীরাও দেখতে আসবে। তাই পাঠাগারটি সুন্দর, পরিপাটি, মননশীল রাখতে হবে। নিয়মিত পরিচর্যা করতে হবে পাঠাগারটির।
চৌকস, মনোযোগী কর্মী নিয়োগ দিয়ে পাঠাগারটি দ্রুত সুন্দর ও পরিপাটি করার জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
উল্লেখ্য, প্রমথ চৌধুরী বাংলা ভাষার অন্যতম সাহিত্যিক যিনি বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে সক্রিয় ছিলেন। তিনি ছিলেন একাধারে প্রাবন্ধিক, কবি ও ছোটগল্পকার। বীরবল ছদ্মনামও তিনি ব্যবহার করেছেন। তার পৈতৃক নিবাস পাবনা জেলার অন্তর্গত চাটমোহর উপজেলার হরিপুর গ্রামে। তিনি বাংলা গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক হিসাবে বিখ্যাত।