যুবদল সিলেটের সভাপতি পদে মনোনয়ন ফরমের দাম ৫০ হাজার
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ আগস্ট ২০২২, ১:৪৭:১৬ অপরাহ্ন
সিলেট অফিস : প্রায় দুই দশক পর সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের সম্মেলন হতে যাচ্ছে। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর জেলা যুবদল এবং ১১ সেপ্টেম্বর মহানগর যুবদলের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হওয়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। তবে উচ্ছ্বাসের মধ্যে সমালোচনা বেশ তীব্র। তুমুল নেতিবাচক আলাপ সভাপতি ও সম্পাদক পদের মনোনয়ন ফরমের ফি নিয়ে।
সভাপতি পদে মনোনয়ন ফি ধরা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৪০ হাজার টাকা। পদ প্রত্যাশীদের নগদ এই টাকা প্রদান করে মনোনয়নপত্র জমা করতে হবে। সিলেট যুবদলে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন উপলক্ষে এমন উচ্চ মূল্যে মনোনয়ন ফি নির্ধারণ করা নিয়ে নেতাকর্মীদের অনেকেই হতাশা প্রকাশ করে এর সমালোচনা করছেন।
এক যুবদল নেতা বলেন, পদ পেতে টাকার শক্তিই এগিয়ে থাকবে মনে হচ্ছে। মনোনয়ন ফরমের মূল্য নির্ধারণই তাই বলছে। এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়াটা দলের জন্য ক্ষতির কারণ হবে। দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ, ত্যাগী অনেক নেতার টাকার জোর কম। তারাতো ফরম কিনতে পারবেন না এতো উচ্চ মূল্যে। ফলে তারা ছিটকে পড়বেন। এতে ঘুরেফিরে দলই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ওই নেতা আরও বলেন, সিলেট বিএনপির সম্মেলনে সভাপতি-সম্পাদক পদে এত টাকা মনোনয়ন ফি নেওয়া হয়নি। তাহলে যুবদলের বেলায় এতো বেশি হওয়ার কারণ কি?
সিলেট বিএনপির কাউন্সিলকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট আব্দুল গাফফার বলেন, জেলা ও মহানগর বিএনপির সভাপতি এবং সম্পাদক পদে মনোনয়ন ফি ছিলো ২৫ হাজার টাকা। আর বাকি পদগুলোর জন্য ছিলো ১৫ হাজার টাকা করে।
সিলেট যুবদলের শীর্ষ তিন পদে এমন উচ্চ মূল্যে মনোনয়ন ফি নির্ধারণের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জেলা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আশিকুর রহমান আসুক বলেন, ফরমের মূল্য নির্ধারণ করে আমাকে জানানো হয়েছে। মনে হচ্ছে টাকার পরিমাণটা একটু বেশি হয়ে গেছে।
সিলেট মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক নজিবুর রহমান নজিব বলেন, একটি সম্মেলনকে কেন্দ্র করে অনেক খরচের ব্যাপার আছে। এই ফি আমরা জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করেছি। পরিমাণটা আসলে বেশি নয়। মনোনয়ন ফি আরও বেশি নির্ধারণের জন্য আলোচনা হয়েছিল। তবে সার্বিক দিক বিবেচনা সভাপতি পদে ৫০, সম্পাদক পদে ৪০ ও সাংগঠনিক পদে ৩০ হাজার টাকা রাখা হয়েছে।