বিশ্বের খাদ্যব্যবস্থা হুমকির মুখে
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ আগস্ট ২০২২, ২:০৪:৪৯ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বব্যাংক বলছে, করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ায় বিশ্বের খাদ্য ব্যবস্থায় ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে খাদ্য শৃঙ্খলে।
বিশ্বের অন্তত ২৩টি দেশ নিজেদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ঠিক রাখতে কমপক্ষে ৩৩ ধরনের খাদ্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যার ফলে বিশ্বের অনেক দেশই খাদ্য সংকটের আতঙ্কে রয়েছে।
বিশেষ করে যেসব দেশে খাদ্য ব্যবস্থা অর্ধেক কিংবা তার কম আমদানি নির্ভর সেসব দেশ সংকটময় পরিস্থিতি পার করছে।
তবে যেসব দেশ আংশিকভাবে খাদ্য আমদানিনির্ভর সেসব দেশ অনেকাংশে স্বস্তিতে রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাড়ছে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি। বাংলাদেশেও গত প্রায় ১০ বছরের সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে গেছে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি।
খাদ্যের নিরাপদ আমদানি-রপ্তানি নিশ্চিতের সুপারিশ করেছে জাতিসংঘের খাদ্য বিষয়ক সংস্থা এফএও এবং বিশ্বব্যাংক। কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাদ্যসংকট দেখা দিলেও এবং বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বাড়লেও খাদ্য ঘাটতি নেই। খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ বাংলাদেশকে এই সুবিধাজনক অবস্থানে রেখেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি মোকাবিলায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত ১৮ আগস্ট প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক হালনাগাদ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। খাদ্য নিরাপত্তা ও ঝুঁকি নিয়ে বিশ্বের নানা দেশের নানা সমস্যা সংবলিত তথ্যাদি উঠে এসেছে ওই প্রতিবেদনে। এ ছাড়া জাতিসংঘের খাদ্য বিষয়ক সংস্থার প্রকাশিত সবশেষ প্রতিবেদনেও বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এর প্রধান কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।
খাদ্য বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ বলেন, আমাদের বেশির ভাগ খাদ্যই সঞ্চিত থাকে জনসাধারণের ঘরে।
ফলে আমরা খুব একটা চিন্তিত নই। কেননা আমাদের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন খুবই ভালো। সামনের মৌসুমেও বাম্পার ফলন হবে।
তবে আমদানিজাত পণ্যের ক্ষেত্রে কিছুটা শঙ্কা রয়েছে। এটার জন্য সরকার আগে থেকেই নানা রকম ব্যবস্থা নিয়েছে।
এদিকে বিশ্বজুড়ে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই খাদ্য সংকট প্রকট আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। এর সঙ্গে একমত হয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও বলেছে, বৈশ্বিকভাবে যে হারে আমদানি পণ্য ও খাদ্য পণ্যের দাম বাড়ছে তাতে মূল্যস্ফীতির ঘোড়াকে সামলে রাখা কঠিন হবে।




