রিজার্ভ তলানিতে আছে তা সঠিক নয়: পরিকল্পনামন্ত্রী
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২০ আগস্ট ২০২২, ৭:১৫:৪৭ অপরাহ্ন
মোটরসাইকেল চালায় সে কি প্রতিদিন ট্যাঙ্কির রিজার্ভ খুলে দেখে?
অনুপম নিউজ ডেস্ক: পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, আমাদের রিজার্ভ তলানিতে আছে যারা বলছেন তাদের এ তথ্য সঠিক নয়, রিজার্ভ ভালো আছে। আরও ভালো হবে। ডলারের দামও শিগগিরই কমে আসবে।
আজ শনিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাছন রাজা মিলনায়তনে জেলা পরিষদ কর্তৃক ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেছেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী আপনাদের ধৈর্যের আহ্বান জানিয়েছেন। এই কয়েকটা দিন একটু ধৈর্য ধরুন। বিদ্যুতের সমস্যা আছে, দ্রব্যমূল্যের সমস্যা আছে। তবে আমরা যারা কাজ করি, আমরা কিছু আলোর রেখা দেখছি পূর্ব দিগন্তে। আমার মনে হয় আমরা সুড়ঙ্গের শেষ প্রান্তে এসেছি। এগুলো অহেতুক কোনো কথা নয়। আমরা নানা বিষয়ে আশা দেখছি। আমার বিশ্বাস এই মাসটাই আমাদের কষ্টের শেষ মাস। আগামী মাস থেকে আবার স্বাভাবিক জায়গায় ফিরে যাব।
দেশের রিজার্ভ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যে মোটরসাইকেল চালায় সে কি প্রতিদিন ট্যাঙ্কির রিজার্ভ খুলে দেখে? ঘণ্টায় ঘণ্টায় কেউ খুলে দেখে না, কারণ আন্দাজ রয়েছে। আমাদের রিজার্ভ ভালো আছে। প্রবাসী ভাইয়েরা টাকা পাঠাচ্ছেন। এখন আরও বাড়ছে। ডলারের দাম বেড়ে ১২০ টাকা হয়ে গেছিলো। এখন সেখানে আর নেই। কমে ১০৫ থেকে ১০৬ টাকায় চলে এসেছে। আরও কমবে।
চা শ্রমিকদের চলমান আন্দোলন নিয়ে মন্ত্রী বলেন, সকল কায়িক শ্রমিকের প্রতি ন্যায়বিচার করবো। দরিদ্ররা অবিচারের শিকার। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এখানে অনেক সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। তবে আমার বিশ্বাস সরকার এ সম্পর্কে সচেতন রয়েছে। যারা বাগানের মালিক তারা শ্রমিকদের থাকার জায়গা দেন, রেশন দেন, মেডিকেল কেয়ার দেন, স্কুল দেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ দেন। সেগুলো যোগ-বিয়োগ করে আমি চাই ন্যায় বিচারের মজুরি। আশা করছি সেটি তারা পাবেন।
চা-শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনের বিষয়ে এম এ মান্নান বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই যারা শ্রমিক, যারা কায়িক শ্রম দেন, হাত-পা দিয়ে কাজ করেন, তাদের প্রতি ন্যায়বিচার যেন হয়। দরিদ্র অবিচারের শিকার। এখানে কিছু সংস্কারের প্রয়োজন আছে। সরকার এ ব্যাপারে সচেতন আছে। চা-বাগানের যারা মালিক তারা কিছু সুযোগ-সুবিধা দেন। তবে টাকায় নয়, তারা থাকার জায়গা দেন, রেশন দেন, চিকিৎসা দেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিদ্যুৎও দেন। আমরা চাই মজুরি, আশা করি ন্যায়বিচারের দিকেই যাচ্ছি। সেখানে পৌঁছায়নি এখনো। তবে পথেই আছি।
সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক নুরুল হুদা মুকুটের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আব্দুল ওয়াহাব রাশেদ ও শিক্ষাবিদ পরিমল কান্তি দে।