৯৮ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্য শুল্কমুক্তভাবে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ আগস্ট ২০২২, ২:২২:৩৩ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাজ্য ডেভেলপিং কান্ট্রিজ ট্রেডিং স্কিম (ডিসিটিএস) নামে নতুন বাণিজ্যনীতি ঘোষণা করেছে, যা বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৬৫টি উন্নয়নশীল দেশকে শুল্ক হ্রাস এবং সহজতর রফতানি সুবিধা প্রদান করবে। ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও তৈরি পোশাকসহ ৯৮ শতাংশ পণ্য শুল্কমুক্তভাবে যুক্তরাজ্যে রফতানি করতে পারবে।
২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) কাতার থেকে বের হবে বাংলাদেশ। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নিয়ম অনুযায়ী এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে শুল্ক্কমুক্ত সুবিধা থাকবে না। এ কারণে এলডিসি থেকে উত্তরণকে রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে অন্যতম প্রধান রপ্তানি বাজার যুক্তরাজ্য ডেভেলপিং কান্ট্রিজ ট্রেডিং স্কিম (ডিসিটিএস) নামের নতুন যে বাণিজ্যনীতি সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, তাতে এলডিসি থেকে বের হওয়ার পরও বাংলাদেশের শুল্ক্কমুক্ত সুবিধা থাকবে।
উদ্যোক্তা রপ্তানিকারকরা যুক্তরাজ্যের নতুন বাণিজ্যনীতিকে ইতিবাচক মনে করছেন। বাণিজ্য বিশ্নেষকরা বলছেন, শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধার সঙ্গে রুলস অব অরিজিন বা উৎস বিধির শর্তও শিথিল থাকবে। এ নীতির কারণে বাংলাদেশের রপ্তানি খাত বড় সুবিধা পাবে। সে দেশে রপ্তানি বাড়াতে সহায়ক হবে। ফলে এলডিসি থেকে বের হওয়ার পরও শতভাগ রপ্তানি সুবিধা কাজে লাগাতে এখনই পরিকল্পনা সাজাতে পারেন রপ্তানিকারকরা।
যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সেক্রেটারি অ্যানে-ম্যারি ট্রেভেলিয়ান বলেন, একটি স্বাধীন বাণিজ্যিক দেশ হিসেবে আমরা আমাদের বাণিজ্যনীতির পুরো নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছি। এমন সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছি যাতে জীবনযাত্রার ব্যয় কমে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো লাভবান হয়। আমরা খরচ কমাতে চাই।
তিনি আরো বলেন, যুক্তরাজ্যে টেক্সটাইল থেকে শুরু করে ৬৫ দেশের যেসব পণ্য এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যে ছাড় বা শূন্য শুল্ক সুবিধা পায়। নতুন এই স্কিমের লক্ষ্য হচ্ছে সেসব পণ্যে শুল্ক আরো কমানো।
বাংলাদেশের রফতানি প্রতিষ্ঠান ডিবিএল গ্রুপের এমডি মোহাম্মদ জব্বার বলেন, আমার কোম্পানির জন্য এটি ‘গেম চেঞ্জার’। এ পরিবর্তনের ফলে ব্যবসা আরো প্রতিযোগিতামূলক হবে এবং সরবরাহ ব্যবস্থা অনেক বেশি সম্ভাবনাপূর্ণ হবে।




