নিত্যপ্রয়োজনীয় ২৬টি আইটেমের ২৫টির দামে আগুন
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ আগস্ট ২০২২, ১১:৪৬:১৬ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: ডলারের দাম বাড়ছে। তাই আমদানিনির্ভর খাদ্যপণ্যের আমদানি কমেছে। এর মধ্যেই জ্বালানির দাম বাড়িয়েছে সরকার। এ দুই কারণে নিত্যপণ্যের বাজারে হু হু করে বাড়ছে দাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় ২৬ আইটেমের ২৫টির দামে আগুন।
জ্বালানির দাম বাড়ার পর বড় ধাক্কা আসে নিত্যপণ্যের বাজারে। প্রথম ধাক্কা আসে সবজিতে। এক দিনের ব্যবধানে সব সবজির কেজিতে দাম বেড়ে যায় ১০ থেকে ২০ টাকা। এর দু-তিন দিন পর চাল, ব্রয়লার মুরগি, ডিম, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ কয়েকটি খাদ্যপণ্যের দাম আরেক দফা বেড়ে যায়।
কাঁচাবাজারে এক ক্রেতাকে জিনিসপত্রের দাম নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি উল্টো প্রশ্ন করেন, ‘কোন জিনিসের দাম বাড়েনি বলেন? আগে থেকেই সব জিনিসের দাম বাড়তি। সরকার ডিজেলের দাম আরও বাড়িয়ে দিল। এখন শুধু গরিব নয়, মধ্যবিত্তের ঢাকায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে গেছে।’
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, গণপরিবহনের পাশাপাশি সড়ক, রেল ও নৌপথের বিভিন্ন পণ্যবাহী পরিবহনের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে কত হবে তা নির্ধারণ করা দরকার। ভাড়া নির্ধারিত না থাকায় পরিবহনগুলো নিজেদের মতো করে ভাড়া নিচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে সব ধরনের পণ্যে।
চার-পাঁচ দিন আগে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হয়েছিল ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। কেজিতে আরও ৪০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা। সোনালি জাতের মুরগি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা দরে। মাসখানেক আগেও ব্রয়লারের দাম ছিল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা।
অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা বা প্রায় ৪৫ শতাংশ।
এক চিকেন ব্রয়লার হাউসের মালিক বলেন, ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে পিকআপ ভাড়া বেড়েছে। মুরগির খাদ্যের দাম বাড়তি কয়েক মাস ধরে। বাজারে অন্যান্য সব জিনিসের দামও বেড়েছে। এ কারণে মুরগির দাম বেড়েছে।
সাধারণত স্বল্প আয়ের মানুষ মাছ-মাংস কম কিনে পুষ্টির চাহিদা মেটান ডিম দিয়ে। ডিমের দামও বাড়ছে হুহু করে। মাসখানেক আগে এক ডজন ডিমের দাম ছিল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। সর্বোচ্চ ২৫ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা দরে। এক মাসে দাম বেড়েছে ২০ শতাংশ।
গত সপ্তাহে চিনির কেজি বিক্রি হয়েছিল ৭৮ থেকে ৮০ টাকায়। পাঁচ থেকে ছয় টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৮৪ থেকে ৮৫ টাকা দরে। এখন পাইকারি পর্যায়ে চিনি কিনতে হয় ৮০ টাকা কেজি দরে। এরপর কিছু ঘাটতি থাকে। পরিবহনসহ অন্যান্য খরচ হিসাব করলে ৮৫ টাকার কমে বিক্রি করা যায় না। এর মধ্যেই ডলারের দাম বাড়ায় চিনির দাম আরও বাড়ানোর জন্য সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে চিনি পরিশোধনকারী মিল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
সপ্তাহখানেক আগে দেশি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় কেনা যেত। কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে এখন দেশি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ আর আমদানির পেঁয়াজে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। আরও ১০ টাকা বেড়ে দেশি রসুন ৭৫ থেকে ৮৫ এবং আমদানি করা রসুন ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।




