তৃণমূলের কর্মীরাই আওয়ামী লীগকে ধরে রেখেছে: প্রধানমন্ত্রী
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জুলাই ২০২২, ১১:৩০:১৫ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান, এরশাদ, জিয়া সব আমলেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মিদের উপর নির্যাতন করা হয়েছে। কিন্তু শত নির্যাতনের মধ্য দিয়েও আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে সব সময় শক্তিশালী ছিল। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের মাঠকর্মিরা সব সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তৃণমূলের কর্মীরাই কিন্তু দলকে ধরে রেখেছেন।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মিদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় সোমবার দুপুরে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আরো বলেন, বিএনপির সময় আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মিদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন হয়েছে। জেল জুলুম হয়েছে। অনেক মানুষ মারা গেছে। অনেক লাশ হারিয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী অনুন্নত দক্ষিণ ও উত্তর অঞ্চলের অবস্থা তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে আমি যখন দেশে ফিরে আসি, তখন সবচেয়ে অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চল। উত্তরাঞ্চল ছিলো মঙ্গা কবলিত এলাকা। তখন মানুষের (উত্তরাঞ্চল) গায়ে মাংস ছিলো না। তাদের খাবার ছিলো না। রোগের চিকিৎসা ছিলো না। আর প্রতিবছর দুর্ভিক্ষ হতো। তখন থেকে আমার একটা প্রতিজ্ঞা ছিলো, যখন সুযোগ পাবো তখন দেশের জন্য কাজ করবো। এখন উত্তরাঞ্চলে মঙ্গা নাই। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের মানুষেরও আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে শেখ হেলাল উদ্দীন এমপি, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখ, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুলসহ টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সড়ক পথে পদ্মা সেতু পার হয়ে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানান তিনি। এসময় সেখানে কিছুক্ষণ নীবরে দাঁড়িয়ে থাকেন শেখ হাসিনা।
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ পরিবারের সদস্যরা ছিলেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু ভবনে অবস্থান করেন। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের ৯ দিন পর সড়ক পথে এটিই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম পারিবারিক সফর।
সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়ায় আসার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখতে মহাসড়কের দুই পাশে অবস্থান নেন হাজার হাজার জনতা। তবে নিরাপত্তার কারণে তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। বিকাল ৩টা ২৮ মিনিটে সড়ক পথে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন সরকার প্রধান।