সিলেটের ধোপাদীঘিরপাড়ে নির্মিত নান্দনিক ওয়াকওয়ের উদ্বোধন
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১১ জুন ২০২২, ৭:৫৫:৫৯ অপরাহ্ন
সিলেট অফিস : সিলেট মহানগরের প্রাণকেন্দ্রে ধোপাদীঘিরপাড়ে সিটি করপোরেশন নির্মিত নান্দনিক ওয়াকওয়ের উদ্বোধন করা হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম। তিনি তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘সিলেট আমাকে আকৃষ্ট করে। এই সিলেটের সার্বিক উন্নয়নে মোমেন সাব খুবই আন্তরিক। তিনিই খুবই চমৎকার মানুষ। তাঁর ভাই (প্রয়াত আবুল মাল আব্দুল মুহিত) যেভাবে একজন আলোকিত মানুষ ছিলেন। দেশের গর্ব ছিলেন, ঠিক তেমনভাবে মোমেন সাহেবও একজন গুণী মানুষ। আমার ক্ষমতা অনুযায়ী সিলেটবাসীর জন্য বরাদ্দ দেব।’
তিনি শনিবার (১১ জুন) সকালে মহানগরের ধোপাদীঘিরপাড় ওয়াকওয়ে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. একে আবদুল মোমেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
সিসিকের পরিকল্পনায় নতুন রূপ পেল সিলেটের প্রাচীনতম এই দীঘিটি।
সিলেট সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল শাখা থেকে এই প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়। সিসিক ধোপাদিঘীকে নতুন রূপ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর ভারত সরকার এগিয়ে আসে এর অর্থায়নে। ‘ধোপাদিঘী এরিয়া ফর বেটার এনভায়মেন্ট অ্যান্ড বিউটিফিকেশন’ নামে প্রকল্প গ্রহণ করে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু হয়।
সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানান, দীঘিতে পানি ছিল ৩ দশমিক ৪১ একর জায়গাজুড়ে। চারপাশে দখল হওয়া জায়গা উদ্ধারের পর পানির সীমানা বেড়ে কমপক্ষে ৩ দশমিক ৭৫ একরে উন্নীত হয়েছে। নোংরা দুর্গন্ধময় পরিত্যক্ত এই দীঘিকে অপরূপ সৌন্দর্যে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ধোপাদিঘীতে সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। চারদিকে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। বসার জন্য রয়েছে বেঞ্চ। পুকুরে নামার জন্য রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ঘাট। পুকুরের নোংরা পানিকে পরিষ্কার করা হচ্ছে। নৈসর্গবিদের পরামর্শে গাছ লাগানো হবে। স্থাপন করা হয়েছে পাবলিক টয়লেট।
সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, ধোপাদীঘি ওয়াকওয়ের পাশাপাশি আরও তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ভারতের হাইকমিশনার ও সিসিক মেয়র। বাকি প্রকল্প দুটি হচ্ছে, ৬ তলা বিশিষ্ট চারাদীঘিরপার স্কুল ও কাস্টঘর সুইপার কলোনি। এ তিন প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে ২১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আর ধোপাদীঘির ওয়াকওয়ে শিগগিরই সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘ধোপাদীঘি রক্ষা করে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতেই মূলত সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। দীঘি খনন, ওয়াকওয়ে নির্মাণ, পার বাঁধানো ও ঘাট তৈরি তৈরি করা ছিল এ প্রকল্পের মূল কাজ।’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে আমার স্বপ্ন ছিল সিলেট নগরবাসীর হাঁটাচলার জন্য একটি নির্মল পরিবেশের স্থান গড়ে তোলা। আমরা সেই চেষ্টা করছি। এর অংশ হিসেবে ধোপাদীঘিকে সাজানো হয়েছে।’
মেয়র বলেন, ‘দীঘি এলাকা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এর প্রবেশপথ থাকবে সিটি করপোরেশনের মসজিদের উত্তর পাশে। রাতের বেলা আলোকসজ্জার ব্যবস্থা থাকবে। ফলে নগরবাসী যেকোনো সময় এখানে এসে হাঁটাচলা করতে পারবেন।’
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাক জাকির হোসেন প্রমুখ।




