লুটেরা সরকারের বাজেট মানেই টাকা লুট : মির্জা ফখরুল
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১০ জুন ২০২২, ১:০৫:৪৪ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক : বাজেট নিয়ে বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকারের বাজেট বিএনপির কাছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। এই লুটেরা, দুর্বৃত্ত সরকারের বাজেট মানেই টাকা লুট। আরও টাকা লুট করা।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়া আদালতে ন্যায়বিচার পাননি। বিচারিক সন্ত্রাসের কারণে তিনি আজ গৃহবন্দি। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। দলীয় তদন্ত কর্মকর্তা দিয়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। একটা মামলায় তারেক রহমান খালাস পেলেন। যে বিচারক খালাস দিলেন, তাকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। এই বিচার ব্যবস্থা নিয়ে আমরা কী করতে পারি?
বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই যে নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেল, সংবিধান শেষ হয়ে গেল, এর জন্য দায়ী কিন্তু বিচার বিভাগের বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। তার কারণে জাতি আজ ধ্বংসের দিকে। যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়ে গেল, তখন খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন, এই জাতিকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া হল। আজ সমস্ত মানুষ তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। আজ মানুষ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে না।
পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, পদ্মা সেতু হয়েছে ভালো কথা। এ সেতু তৈরিতে বিশ্বব্যাংক টাকা দেবে বলেছিল। কিন্তু সেই বিশ্বব্যাংক টাকা তুলে নিল কেন? ঘটনা তো সত্য। মন্ত্রীকে বরখাস্ত করতে হয়েছিল। এটাই বাস্তবতা। চুরি আর লুটপাটের জন্য এটা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই পদ্মা সেতুর প্রথম ফিজিবিলিটি খালেদা জিয়া সরকারের আমলে শুরু হয়েছিল। ২০০৫ সালে জাপান সফরকালে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পদ্মা সেতুর ফান্ডিংয়ের (অর্থায়ন) ব্যাপারে তিনি (খালেদা জিয়া) কথা বলেছিলেন। পদ্মা সেতুর ভূমি অধিগ্রহণও খালেদা জিয়া সরকারের আমলে হয়েছিল। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছিল। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে তিনি আর সেটা করতে পারেননি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, বিএনপি নেতা মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সহ-আইন সম্পাদক সৈয়দ জয়নুল আবেদীন, ইকবাল হোসেন, আইনজীবী বোরহান উদ্দিন, আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী প্রমুখ।