গোয়াইনঘাটে বধ্যভূমি চিহ্নিত এবং সংরক্ষণের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ জুন ২০২২, ১:২৬:৩৩ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ণানগর গ্রামে পাক-হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের হাতে নির্মম নির্যাতনে মৃত্যুবরণকারী মুক্তিকামী ২৩ জন শহীদের গণকবর ও বধ্যভূমি চিহ্নিত করা এবং সংরক্ষণের দাবিতে সিলেটের গোয়াইনঘাটে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৭ জুন মঙ্গলবার দুপুরে গোয়াইনঘাট উপজেলা শহীদ মিনার চত্বর থেকে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সন্তান কমান্ডের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্টিত হয়। মিছিলটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পূণরায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এসে মানববন্ধনে মিলিত হয়।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল হক’র সভাপতিত্বে ও সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ও পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফুর রহমান লেবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালিক, সন্তান কমান্ডের সভাপতি কামাল হোসেন, সহ-সভাপতি কামাল আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন আহমদ, শেখ ফরিদ, হাবিল আহমদ, বিলাল উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, জিয়ার রহমান, দেলোয়ার হোসেন, চান মিয়া, ময়ূর আহমদ ও মিনহাজ উদ্দিন প্রমূখ।
উপজেলার প্রায় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা ও সন্তান কমান্ডের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন, ৭১’র গণকবর ও বধ্যভূমি সংরক্ষণ করা না হলে বর্তমান এবং নতুন প্রজন্ম দেশের মুক্তিযুদ্ধের অনেক ইতিহাস অজানা থেকে যাবে। এদিকে স্থানীয় সুশীল সমাজের দাবি, বছরের বিশেষ একটি দিনে নয়। গোয়াইনঘাটের চিহ্নিত গণকবর, বধ্যভুমি গুলি সংরক্ষণ, ভূমিদস্যুদের কবল থেকে রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ এবং উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা শহীদের গণকবরের সঠিক সন্ধান ও সংরক্ষণের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের সঠিক ইতিহাস জানতে আগ্রহী করে তোলতে হবে। দেশের লাল-সবুজের পতাকার মান অক্ষুন্ন রাখতে গোয়াইনঘাটে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯থেকে ১০টি সম্মুখ যুদ্ধে লড়াই করেছেন। এসময় পাক-বাহিনী এদেশীয় দোসরদের সহযোগিতায় গণহত্যা ও সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের মরদেহ মাটিতে পুঁতে রেখে দেয় নরপশু পাক-সেনারা। অবিলম্বে শহীদদের ঐসব গণকবর যথাযোগ্য মর্যাদায় সংরক্ষণের ব্যবস্থা ও নতুন গণকবর চিহ্নিত করে সংরক্ষণ করে উপজেলার নতুন প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধে গোয়াইনঘাট উপজেলার বীরত্বগাঁথা ইতিহাস জানতে সহযোগিতা করার দাবি জানিয়েছেন।
গোয়াইনঘাটের কয়েকটি এলাকায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর হিসেবে সংরক্ষিত কর হলেও উপজেলা সদরের গোয়াইনঘাট সেতু সংলগ্ন নদীর পূর্বপাড়ে পূর্ণানগর গ্রামের রাজ্জাকের বাড়ীর সামনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর আজও সংরক্ষণ করা হয়নি। উক্ত গণকবর সংরক্ষণের জন্য ইতিপূর্বে দেশের অনেক সাহিত্য, লেখক উক্ত স্থান পরিদর্শন করেছেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে গণকবর সংরক্ষণের সংবাদ একাধিকবার প্রকাশিত হলেও গণকবর গুলো অদ্যবদি সংরক্ষণ করা হয়নি।



