গোলাপগঞ্জে উপনির্বাচন: মঞ্জুর ও সফিকের সম্পদের বিবরণ যা আছে হলফনামায়
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০১ জুন ২০২২, ১:৫২:১২ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি : সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মঞ্জুর কাদির শাফির স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও বাৎসরিক আয়ের পরিমাণ প্রায় ১১ কোটি টাকা। অন্যদিকে, স্থাবর, অস্থাবর ও আয় মিলিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সফিক উদ্দিনের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২৫ লাখ টাকা।
নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দাখিলকৃত প্রার্থীদের হলফনামা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ইসি সূত্র জানায়, চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে এ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়। পরে গত ২৫ এপ্রিল এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। আগামী ১৫ জুন হবে ভোটগ্রহণ।
বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না, এমন মনোভাবের কারণে এই উপনির্বাচনেও অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন মঞ্জুর কাদির শাফি এবং ঘোড়া প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সফিক উদ্দিন।
হলফনামা অনুসারে, মঞ্জুর কাদি শাফি ‘স্বশিক্ষিত’। তাঁর নামে কোনো মামলা নেই, আগেও ছিল না। তিনি বিদ্যুৎ উৎপাদন ও রপ্তানীমুখী তৈরী পোশাক ব্যবসায় জড়িত।
প্রতি বছর ব্যবসা থেকে শাফির আয় ১১ লাখ ৬৭ হাজার ৭৬৮ টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র বা ব্যাংক আমানত থেকে ৪১ লাখ ৫৪ হাজার ২৯৩ টাকা, অন্যান্য খাত থেকে ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা। তিনি ‘চাকরির সম্মানী’ বাবদ বছরে পান ৭৭ লাখ ৫৪ হাজার ৭৫০ টাকা। তাঁর কাছে নগদ ১ লাখ ১৭ হাজার ৬৮৩ টাকা এবং ব্যাংকে ৫ লাখ ১১ হাজার ৯২৪ টাকা আছে। শাফির নামে বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্চ তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার আছে ৯ কোটি ১৭ লাখ ৩৫ হাজার ৪১২ টাকার, পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ২২ লাখ ২৫ হাজার ২ টাকার। তার ১০ লাখ ২৫ হাজার টাকার গাড়ি, ৬ লাখ টাকার স্বর্ণ বা অন্যান্য ধাতু, ১ লাখ ৯০ হাজার ৭০০ টাকার ইলেকট্রিক সামগ্রী, এক লাখ ১৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র আছে।
শাফির ব্যবসায়িক মূলধন আছে ৩৭ লাখ ১৯ হাজার ১০৯ টাকা। তাঁর নামে ৫ একর কৃষি জমি, ৪.৬৬ শতক অকৃষি জমি (অর্জনকালীন মূল্য ১০ লাখ সাড়ে ৪৭ হাজার টাকা) এবং উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত দুই তলা বিশিষ্ট একটি দালান আছে। তাঁর কোনো দায়দেনা নেই।
মঞ্জুর কাদির শাফির স্ত্রীর নামে ব্যাংকে ৩৫ লাখ ২৬ হাজার ৭০০ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্চ তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার ৫৭ লাখ ২৮ হাজার ১৩৮ টাকা এবং ৫ লাখ টাকার অলঙ্কার আছে।
মো. সফিক উদ্দিন এইচএসসি পাস। তিনি বর্তমানে কোনো মামলায় অভিযুক্ত নন; তবে অতীতে একটি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। পরে আদালত থেকে মামলায় বেকসুর খালাস পান। তিনি হাউজিং ব্যবসায় জড়িত।
সফিক কৃষি খাত থেকে বছরে ৫০ হাজার টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে ৩ লাখ টাকা আয় করেন। তাঁর কাছে নগদ ২ লাখ টাক, ব্যাংকে ১ লাখ টাকা জমা আছে। ৯০ হাজার টাকার ‘অন্যান্য’ অস্থাবর সম্পদ আছে সফিকের।
স্থাবর সম্পদের মধ্যে সফিকের নামে ৪ শতক কৃষি জমি এবং ১৬৪ শতক অকৃষি জমি (অর্জনকালীন মূল্য ১৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা) আছে। তাঁর কোনো দায়দেনা নেই। সফিকের স্ত্রীর নামে ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার আছে।




