সিলেটে আড়তে ও মিলে পঁচলো কোটি টাকার ধান চাল
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ মে ২০২২, ৮:৪০:১৬ অপরাহ্ন
মজুদ রাখা ৫০ কেজির হাজারো বস্তা চাল এবং ২ মন ওজনের ধানের বস্তার স্তুপ ভিজে পচন ধরেছে
সিলেট অফিস : সিলেট মহানগর থেকে বন্যার পানি নামতে থাকছে বটে কিন্তু সিলেটের ধান-চালের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন খুব। সুরমা নদীপারের মিল ও আড়তে রাখা কোটি টাকার ধান-চাল নষ্ট হয়েছে গত এক সপ্তাহের বন্যার পানিতে।
কাজিরবাজার ধান-চালের মিল ও আড়তের গুদামগুলোতে কোনো কোনোটায় ছিল হাঁটুপানি। গুদামে রাখা সারি সারি ধান-চালের বস্তা ভিজে নষ্ট হয়েছে বন্যার পানিতে। বৃহস্পতিবার থেকে বন্যার পানি কমতে শুরু করায় শনিবার থেকে গুদামগুলো খুলতে শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। গুদামগুলো থেকে বেরিয়ে আসছে ধান-চাল পচা দুর্গন্ধ। মজুদ রাখা ৫০ কেজির হাজারো বস্তা চাল এবং ২ মন ওজনের ধানের বস্তার স্তুপ ভিজে পচন ধরেছে। এমন চিত্র কাজিরবাজারের প্রতিটি গুদামের। বন্যার কারণে আড়ৎদাররা ধান-চালের বস্তা সরানোর সময় পাননি।
কাজিরবাজার এলাকার মোস্তাক এন্ড ব্রাদার্স মিল, পদ্মা রাইস মিল, দয়া ও জামান মিল, রঙ্গেশ অটো রাইস মিল, এম.এস অটো রাইস মিল, মতিন ব্রাদার্স, হাসান ব্রাদার্স ও ফাইয়ানসহ অনেক মিল এবং আড়তে হাজার হাজার বস্তা ধান-চাল রাখা ছিল। সেই গুদামগুলোর নিচের অন্তত ৫ ফুট পর্যন্ত রাখা বস্তাগুলোর ধান-চাল পচে নষ্ট হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় সরকারকে পাশে না দাঁড়ালে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন তারা।
একই অবস্থা সুরমা তীরবর্তী আরেক এলাকা শেখঘাটে। সেখানেই রয়েছে অনেক ধান-চালের মিল ও আড়ত। শেখঘাটের এসএল অটো রাইসমিল ও মেসার্স জনতা ট্রেডার্সের পরিচালক আবদুল হামিদ বলেন, শেখঘাট এলাকাতে বেশ কয়েকটি অটো রাইসমিল রয়েছে। সকল মিলেই বন্যার পানি ঢুকেছিল। এতে কয়েক কোটি টাকার ধান-চালের ক্ষতি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা এখন পথে বসার জোগাড়।
শেখঘাটের আড়ত ও অটো রাইসমিলগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা প্রতিষ্ঠানের গুদাম ও অটো রাইসমিল থেকে ভেজা চাল ও ধানের বস্তা বের করছেন। ওই এলাকাজুড়ে ধান-চাল পচা গন্ধ ভেসে বেড়াচ্ছে। গুদামগুলাের মধ্যে জমে থাকা পানিতে চাল পড়ে সেগুলো থেকেই গন্ধ বের হচ্ছে।
সিলেটের কাজির বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য আবদুল মালেক বলেন, কাজির বাজার ও শেখঘাট অংশে শতাধিক চালের ব্যবসায়ী রয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে প্রায় ১০ থেকে ১৫টি অটো রাইসমিল। চাল ব্যবসায়ীদের আলাদা গুদামও রয়েছে। গুদামে হাজার হাজার বস্তা চাল রাখা থাকে। সেগুলো একসঙ্গে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি।




