শুভ নববর্ষ ১৪২৯, চন্দ্র সূর্য সকলের
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ এপ্রিল ২০২২, ৬:৫৬:৪৮ অপরাহ্ন
অনুপম প্রতিবেদক : শুভ নববর্ষ ১৪২৯। পহেলা বৈশাখ উদযাপন কিংবা চৈত্র মাসের শেষ দিন চৈত্রসংক্রান্তি, বসন্তবরণ, নবান্ন, হালখাতা উৎসব ইত্যাদি আমাদের ঋতুর সঙ্গে জড়িত। আমাদের ঐতিহ্য ঋতুকেন্দ্রিক। ইউরোপ বা আমেরিকায় চার ঋতু। আমরা পেয়েছি ছয় ঋতু। ষড়ঋতুর বাংলাদেশ। ষড়ঋতু এই ভূখণ্ডের নিজস্ব। পুরো ভারত অঞ্চলে এটা আছে এবং সবাই উদযাপন করে।
বাংলা সন উদ্ভাবন করেছিলেন পন্ডিত জ্যোতির্বিজ্ঞানী আমীর ফতেহ উল্লাহ সিরাজী। মুঘল সম্রাট আকবর তাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন ১৫৮৪ খৃষ্টাব্দে। আমীর ফতেহ উল্লাহ সেকালে প্রচলিত ও অপ্রচলিত বিভিন্ন পঞ্জিকা তুলনামূলক পর্যালোচনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে, হিজরী চন্দ্র সনকেই সৌর গণনায় আনেন। হিজরী সনের বছর ৩৫৪ দিনের স্থলে ৩৬৫ দিনে এনে যে নতুন সন উদ্বাবন করেছিলেন, সেটিই বাংলা সন। ১৫৮৫ খৃষ্টাব্দে বাদশাহ আকবর এটি চালু করেছিলেন।
বাংলা ভাষায় কথা বলেন নানা ধর্মের মানুষ। এ অঞ্চলের প্রাকৃতিক সুবিধা অসুবিধা সবাই অভিন্নভাবে পান। মৌসুমের আশির্বাদও সকলে পান। এ ভূখণ্ডের ভূপ্রকৃতির সুন্দর অসুন্দর মঙ্গল অমঙ্গল সকলকে স্পর্শ করে।
আজ সব সরকারি-বেসরকারি টিভি, বাংলাদেশ বেতার, এফএম ও কমিউনিটি রেডিও বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি চ্যানেলগুলো রমনা বটমূলে ছায়ানট আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করছে। দেশের পত্রপত্রিকায় বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রকাশ করেছে বিশেষ প্রতিবেদন/ক্রোড়পত্র ইত্যাদি।
আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ আমাদের জন্যে নির্ধারিত। প্রকৃতিতে পক্ষপাত নেই একটুও। চন্দ্র সূর্য সকলের – রোদ বৃষ্টি জোছনা সকলের। পয়লা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ সকলের। বছরের হিসাব সকলের। প্রকৃতির নানা রূপের পরিবর্তন সকলের জন্যে আসে। এর ভিতর আমাদের বেড়ে ওঠা, আমাদের জীবন যাপন। ‘মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক জরা’ আমাদের প্রার্থনা। আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির জয় হোক। ১৪২৯ বাংলা নববর্ষ সকলের জন্যে কল্যাণ নিয়ে আসুক।




