এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সেই ধর্ষণ মামলার বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ এপ্রিল ২০২২, ৪:২৯:২১ অপরাহ্ন
সিলেট অফিস : সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। সোমবার তরুণীর স্বামী নিরাপত্তা চেয়ে মহানগর পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল আহসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
সাধারণ ডায়েরিতে অভিযোগ করা হয়, গত ২৯ মার্চ সকাল ৯টার দিকে অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি সিএনজি অটোরিকশায় তরুণীর স্বামীর বাড়িতে যায়। এ সময় তরুণীর স্বামীকে না পেয়ে তার বাবা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে ও হুমকি দিয়ে চলে আসে। এরপর তরুণীর স্বামীর মোবাইলে নাম-পরিচয় গোপন রেখে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা ও হুমকি দেয়।
তরুণীর স্বামী সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করেন, গত দু’দিন থেকে কয়েকবার কল দিয়ে তাকে ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের এবং তার মামলা পরিচালনাকারী বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা, সিলেটের নেতৃবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের ক্ষতিসাধন, মিথ্যা মামলা ও প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়। এ অবস্থায় তিনি ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া ওই তরুণী। এই ঘটনায় তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে ছাত্রলীগের ৬ জনের বিরুদ্ধে মহানগর পুলিশের শাহপরাণ (রহ.) থানায় মামলা করেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়।
আসামিরা হলো, সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার চান্দাইপাড়ার তাহিদ মিয়ার ছেলে সাইফুর রহমান, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বাগুনীপাড়ার শাহ জাহাঙ্গির মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার উমেদনগরের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক, জকিগঞ্জের আটগ্রামের মৃত অমলেন্দু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর, দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুরের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে রবিউল ইসলাম, কানাইঘাট উপজেলার লামা দলইকান্দির সালিক আহমদের ছেলে মাহফুজুর রহমান মাসুম, নগরীর গোলাপবাগের ৭৬ নম্বর বাসার মৃত সোনা মিয়ার ছেলে আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও বিয়ানীবাজার উপজেলার নটেশ্বর গ্রামের মৃত ফয়জুল ইসলামের ছেলে মিজবাউল ইসলাম রাজন।
ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ৮ জন বর্তমানে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তাদের সবাই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তবে নানা কারণে দেশে-বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করা সংঘবদ্ধ এই ধর্ষণ মামলার বিচার প্রক্রিয়া বছর খানেক ধরে কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে জানিয়েছেন বাদী পক্ষের অন্যতম আইনজীবী অ্যাডভোকেট শহিদুজ্জামান চৌধুরী।




