‘আওয়ামী লীগ বুঝিয়ে দিয়েছে তারা গণতন্ত্র ধারণ করে না’
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ মার্চ ২০২২, ১১:০০:২২ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক : গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী বলেছেন, ক্ষমতা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ বুঝিয়ে দিয়েছে তারা গণতন্ত্র ধারণ করে না।
তিনি বলেন, ক্ষমতা হস্তান্তরের শান্তিপূর্ণ পথ তো রাখতে হবে। আপনি যদি সব পথ বন্ধ করে দিতে থাকেন, পুরোটাকে একটা ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট শাসনে জমিদারিতে পরিণত করেন তখন নানা অগণতান্ত্রিক শক্তির পথ রচনা হয়। ফলে আওয়ামী লীগের শাসন ইটস সেলফ বাংলাদেশের অগণতান্ত্রিক শাসনের। যে গণতন্ত্রের কথা বলে তারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলেন, গৌরবের অধিকারী হলেন। কিন্তু ক্ষমতার পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা বুঝিয়ে দিলেন তারা আসলে গণতন্ত্র ধারণ করেন না।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার জেএসডি আয়োজিত ‘আকাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ : বাস্তবতা ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের (একাংশ) নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ।
জুনায়েদ সাকী বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিই হলো বিভিন্ন দল কাজ করবে। কিন্তু বিভিন্ন দল কাজ করবে এটা স্বীকার করার মতো নূন্যতম গণতান্ত্রিকবোধ তাদের নেই। আওয়ামী লীগ যে সত্যিকারার্থে গণতান্ত্রিক দল নয় তার প্রমাণ হচ্ছে, আওয়ামী লীগ যে ঘোষণা দিয়ে ১৯৫৬ সালে যখন কেন্দ্রীয় সরকার করল সেই ঘোষণা থেকে সরে গেল। ফলে দল ভেঙে গেল। আবার ১৯৭২ সালে ক্ষমতা পাওয়ার পর তারা দেখিয়ে দিলেন তারা আসলে গণতান্ত্রিক চিন্তা চেতনা ধারণ করেন না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ভেতর থেকেই জাসদ সৃষ্টি হলো। ছাত্রলীগের উজ্জ্বল গুরুত্বপূর্ণ অংশ জাসদ আকারে বেরিয়ে আসলো। সেই জাসদকেও একটা ন্যূনতম কাঠামোর মধ্যে যে রাজনৈতিক স্পেস পাওয়ার কথা তা করতে দিলেন না। নানাভাবে তাদের ওপর অত্যাচার চললো। আর এর পরিণত হলো তারা (আওয়ামী লীগ) নিজেরাও টিকে থাকতে পারলেন না।
জোনায়েদ সাকী বলেন, ৭৫ সালের ঘটনা অত্যন্ত মর্মাহত, অত্যন্ত ঘৃণ্য। এই ধরনের রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সমাজের মধ্যে সবসময় বিপজ্জনক প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। নানাভাবে আরও জটিলতর করে। অসুবিধার মধ্যে ফেলে। কোনো অগ্রগতি হয় না। কিন্তু যেটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সেটা হচ্ছে-ক্ষমতা হস্তান্তরের শান্তিপূর্ণ পথ তো রাখতে হবে। আপনি যদি সব পথ বন্ধ করে দিতে থাকেন, পুরোটাকে একটা ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট শাসনে জমিদারিতে পরিণত করেন তখন নানা অগণতান্ত্রিক শক্তির পথ রচনা হয়। ফলে আওয়ামী লীগের শাসন ইটস সেলফ বাংলাদেশের অগণতান্ত্রিক শাসনের। সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপের ক্ষেত্র তৈরি করেছে।
জোনায়েদ সাকী আরও বলেন, আমরা ৭৫-এর হত্যাকে নিন্দা করি। কিন্তু কীভাবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা সামরিক হস্তক্ষেপের প্রেক্ষাপট তৈরি হলো সেই প্রশ্নও আমাদের পরিষ্কার করা উচিত।