ডিম পোচ না সিদ্ধ ভাল, ব্যাকটেরিয়া থেকে সতর্ক থাকছেন তো?
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ মার্চ ২০২৩, ১:৩৩:৩৮ অপরাহ্ন
অনুপম স্বাস্থ্য ডেস্ক : সকালের নাশতায় অনেকেই ডিম খান। তবে ডিম সিদ্ধ, ভাজা না পোজ করে খাবেন তা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। অনেকে আবার কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার ভয়ে রোজ ডিম খাওয়া থেকে বিরতও থাকেন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কেউ কেউ আবার খাদ্যতালিকা থেকে ডিমের কুসুম বাদ দেন।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, ডিমের সাদা অংশ থেকে শুরু করে কুসুমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ থাকে । একটি ডিম থেকে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন এ, ডি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় ডিমে। এ ছাড়াও ডিমে থাকে কোলিন। লিভার ভাল রাখতে এই খনিজ খুবই উপকারী।
যেভাবে ডিম খেলে বেশি উপকার বেশি-
পুষ্টিবিদদের মতে, তেলে ভেজে ডিম খাওয়ার চেয়ে কড়াইয়ে তেল মাখিয়ে পোচ করে ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে ডিম সিদ্ধ করে খাওয়াই ভালো। কারণ ডিমের পোচে ক্যালরির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগলেও পোচ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তবে শিশুদের জন্য পোচ বেশ উপকারী।
অন্য দিকে, যারা ওজন কমাতে চান তারা নিশ্চিন্তে সিদ্ধ ডিম খেতে পারেন। কিংবা যারা রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন ডিম সিদ্ধ। ডিমের সাদা অংশে সবচেয়ে বেশি প্রোটিন থাকে। সিদ্ধ করার পর ডিমের উপকারী উপাদানগুলি বজায় থাকে। পোচ করলে বা তেলে দিয়ে ডিম ভাজলে অনেক সময় সেই উপাদানগুলি নষ্ট হয়ে যায়। পুষ্টিবিদরা তাই নিয়মিত তাই সিদ্ধ ডিম খাওয়ার পরামর্শই দিয়ে থাকেন।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ডিমের ব্যাকটেরিয়া বিষয়ক সতর্কতা
খোসার পাশাপাশি ডিমের ভিতরেও ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে, যা অন্য খাবারে, হাত, পাত্রে এবং ওয়ার্কটপে খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ডিমগুলোকে অন্যান্য খাবার থেকে দূরে রাখুন। যখন সেগুলো খোসার মধ্যে থাকে এবং আপনি সেগুলি ফাটানোর পরেও দূরে রাখুন।
অন্য খাবার, ওয়ার্কটপ বা থালা-বাসনে ডিম ভেঙ্গে ছড়িয়ে দেয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ এতে ডিমের ব্যাকটেরিয়া ছড়াতে পারে। কাঁচা ডিম হাতে নেওয়ার পর আপনার হাত গরম পানি এবং সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এবং তারপর ডিম স্পর্শ করার পরে বা কাজ করার পরে হাত শুকিয়ে নিন।
কাঁচা ডিম যেসব পাত্রে রাখবেন সেসব গরম পানি ও সাবান দিয়ে পরিষ্কার করুন। ডিমের খোসা ফেলে দিন নিরাপদ স্থানে, কেননা খোসার ভিতর ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। ডিমের মেয়াদের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। ডেট অভার ডিম ব্যবহার করবেন না।
সূত্র : এনএইচএস ইউকে