ঢাবির হাজার হাজার প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা সম্পন্ন
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ মার্চ ২০২২, ৯:৩৯:০৯ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক : দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে আছেন ‘জাতির বাতিঘর’ হিসেবে পরিচিত শতবর্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৩৩ লাখ গ্র্যাজুয়েট।
জ্ঞানের আলো ছড়ানো সেই গ্র্যাজুয়েটদের একটি অংশ শতবর্ষ উদযাপন করতে এক হয়েছিলেন প্রাণপ্রিয় ক্যাম্পাসে। অন্তত তিন প্রজন্মের প্রাক্তন শিক্ষার্থী হাজির হয়েছিলেন এই মিলনমেলায়।
তাদের কেউ এসেছিলেন লাঠিতে ভর করে, অনেকে আসেন দুরন্ত বেগে মোটরসাইকেল হাঁকিয়ে। সবার বুকে প্রাণপ্রিয় বিদ্যাপীঠের জন্য গভীর ভালোবাসা। বয়োবৃদ্ধ অনেকেই পরম মমতায় ছুঁয়ে দেখছিলেন প্রিয় ক্যাম্পাসের ইট-কাঠ। অনেকে কয়েক দশক পর সহপাঠী, সতীর্থদের কাছে পেয়ে বুকে জড়িয়ে ধরেছেন আবেগে। চোখে ঝরেছে আনন্দাশ্রু। গতকাল শনিবার এমনই ছবি ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের এই আয়োজনে অ্যালামনাই ও অতিথি মিলে অন্তত ১২ হাজার মানুষ অংশ নেন। অনেক অ্যালামনাই ১৫টি দেশ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। সবার অংশগ্রহণে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় মিলনমেলায় পরিণত হয় এ অনুষ্ঠান। মিলনমেলা ঘিরে ক্যাম্পাস ছিল উৎসবমুখর।
মূল ফটক কার্জন হলের আদলে তৈরি করা হয়। অনুষ্ঠান চত্বরে লাগানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ছবি। সঙ্গে ছিল খ্যাতিমান শিল্পীদের চিত্রকর্ম। পুরো অনুষ্ঠান একসঙ্গে উপভোগ করার সুবিধা দিতে বসে এলইডি স্ট্ক্রিন। স্থাপন করা হয়েছিল ছোট ছোট তাঁবু, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা দিনভর স্মৃতিচারণ করেছেন, দিয়েছেন আড্ডা।
‘বাংলাদেশের পথযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে সকাল ১০টায় শুরু হয় অনুষ্ঠান। ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ. কে. আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণতম শিক্ষার্থী ও দেশের প্রথম অর্থসচিব মতিউল ইসলাম।
শুরুতেই জাতীয় পতাকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পতাকা উত্তোলন করা হয়। ওড়ানো হয় রঙিন বেলুন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, ঐতিহ্য তুলে ধরে শত শিল্পী লাইভ অর্কেস্ট্রা, সংগীত এবং নৃত্য পরিবেশন করেন। পরে একে একে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠ শেষে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সদস্য মুনিরা খান উপস্থাপন করেন শোক প্রস্তাব।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ডুয়ার সাবেক সভাপতি রকীবউদ্দীন আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ ও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল। বক্তব্য দেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার, সিনিয়র সহসভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার, সহসভাপতি গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, শতবর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী পারভেজ ও সদস্য সচিব আশরাফুল আলম মুকুল।




