ছাতকে ৯ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া, যে কয়জন শীর্ষ বিলখেলাপী
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১০ মার্চ ২০২২, ১২:০১:১৯ অপরাহ্ন
সংবাদদাতা : প্রায় ৯ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় ছাতক শিল্পনগরী উপজেলা বিদ্যুৎ বিত্রুয় ও বিতরণ বিভাগ ও উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আল মামুন সরদারে বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে লুটপাটের অভিযোগ করেছেন একাধিক গ্রাহক। প্রতিদিন সকালে কার্যালয়ে হাজিরা দিয়ে তারা বকেয়া আদায়ে বিভিন্ন গ্রাম পাড়া মহল্লায় গ্রাহকদের কাছে যাচ্ছেন । ফলে ব্যাহত হচ্ছে ওই অফিসের গ্রাহক-সুবিধাসহ অন্য কার্যক্রম।
বিদ্যুৎ আদালত সিলেটের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে অনুসন্ধানে পৌর শহরের বকেয়া বিলের শীর্ষ বিলখেলাপি হয়েছেন পৌর মেয়র ও আওয়ামীলীগনেতা আবুল কালাম চৌধুরীসহ ৬ সহোদর।
গত মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমান আ’দালত। এ আদালতের মাধ্যমে একাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহকদের কাছে নগদ টাকা আদায় করে এবং একদিনের মধ্যে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের অঙ্গিকার করেন গ্রাহকরা।
২১ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে পৌর মেয়রের ৬ ভাইয়ের কাছে রয়েছে। তারা দীঘদিন ধরে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছেন না বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেেছে। বিদ্যুৎ অফিসের কর্তৃপক্ষ বার বার তাগিদ দিলেও আদায় হচ্ছেনা বিদ্যুৎ বিল। র্দীঘদিন ধরে দিচ্ছি-দিচ্ছি বলে সময় ক্ষেপণ করছেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, ছাতক পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামীলীগনেতা আবুল কালাম চৌধুরী ৮০ লক্ষ ৫শ ৪৮ টাকা, মেয়রের ছোট ভাই শামিম চৌধুরী ৩ টি একাউন্টে ২ লাখ ৬০ হাজার, ৬ শ ১৩ টাকা, সেলিম চৌধুরীর ২ লাখ ৩ হাজার ৩ শ ৪১ টাকা, শাহিন চৌধুরীর ১ লাখ ৫ হাজার ৩ শ ৯০ টাকা, জামাল চৌধুরীর দুটি একাউন্টে ৫ লাখ ৬৯ হাজার ২ শ ৭৮ টাকা, কামাল চৌধুরীর ৮ লক্ষ ৪৬ হাজার ৯শ ১৫ টাকা।
এভাবে মেয়র পরিবারের কাছে পাওনা ২১ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। প্রভাবশালীদের কাছে বিদ্যুৎ বিল বকেয়ার ঘটনায় এ নিয়ে সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জেলাজুড়েই সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, তারা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা। লাখ লাখ টাকা বিল হলেও তাদের নামে মামলা হয় না। আমরা সাধারণ জনগন ১০ হাজার টাকার বিল হলে বিদ্যুৎ অফিস বাড়িতে এসে বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করাসহ মামলা করে দিতেন সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লা আল মামুন সরদার ও সাবেক দুর্নীতিবাজ কর্মকতারা।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র কালাম চৌধুরী জানান, তাকে অতিরিক্ত বিল দেয়া হচ্ছে, যা সঠিক নয়, মিটারে সমস্যা রয়েছে। এ কারনেই বিল দেয়া হচ্ছেনা। ২১ লাখ টাকার বিলের বিষয়ে তিনি অবগত নন।
বিক্রয় ও বিপনন বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ছাতকস্থল (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল রাজ্জাক জানান, ৯ কোটি টাকা বকেয়া বিলের এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ৬ জনের মধ্যে দুটি একাউন্টে ৪ লক্ষ টাকা পরিশোধ করা হলে ও ১৭ লাখ টাকা বকেয়া রয়ে গেছে। যারা টাকা দেবেনা তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত মামলা দায়ের করা হবে।




