জগন্নাথপুরের ঘটনা : দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্ত্রীর হত্যাকারীদের ফাঁসি চান প্রবাসী স্বামী
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ মার্চ ২০২২, ১১:৫৭:২২ অপরাহ্ন
সংবাদদাতা : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় স্ত্রী শাহনাজ পারভীনকে (৩৫) হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার করে ফাঁসির দাবি জানান তার স্বামী সৌদিপ্রবাসী ছুরুক মিয়া।
তিনি বলেন, আমি বাকরুদ্ধ, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। সন্তানদের পাশে দাঁড়াতে ছুটে এসেছি। তাদের কি বলে শান্তনা দেব, বুঝে উঠতে পারছি না।আমার সাজানো সংসার কালবৈশাখী ঝড়ের মতো তছনছ হয়ে গেছে।
২০০৫ সালে উপজেলার নারিকেলতলা গ্রামের বাসিন্দা ছুরুক মিয়া উপজেলার শেওড়া গ্রামের মেয়ে শাহানাজ পারভীন পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দাম্পত্য জীবনে তারা দুই মেয়ে ও এক ছেলের জনক। ১৯৮৪ সালে জীবিকার তাগিদে তিনি সৌদি আরবে যান। সেখানে চাকুরি করে যা আয় করেন তা জমিয়ে জগন্নাথপুর পৌর শহরে জমি কিনে বাসা তৈরি করেন। ২০০০ সালে করোনা পরিস্থিতিতে তিনি দেশে এসে পুরো এক বছর স্ত্রী সন্তানদের সাথে সময় কাটান।২০২১ সালে বৈদেশিক ফ্লাইট চালু হলে তিনি প্রথম ফ্লাইটে ফিরে যান সৌদি আরবে। প্রতিদিন সকালে ও রাতে তার স্ত্রী ও ছেলে মেয়েদের সাথে কথা হতো।
ঘটনার আগের রাতে ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে স্ত্রীর সাথে তার অনেক কথা হয়েছে বলে জানান। স্ত্রী ছেলে মেয়েদের প্রাইভেট শিক্ষকের বেতন ও পারিবারিক খরচের জন্য টাকা পাঠানোর আবদার করেন। আমি ঘটনার দিন দুপুরে বিকাশে ৩০ হাজার টাকা পাঠিয়ে ফোনে জানাই এবং বলি রাতে কথা হবে। আর কথা হয়নি খবর পেয়েছি নিখোঁজ।
তিনি বলেন, সৌদি আরবের মাটিতে থেকে যেভাবে নির্মমভাবে আমার স্ত্রীকে হত্যা করার বর্ণনা শুনেছি তা সত্যি বেদনাদায়ক। আমি নিজকে স্বাভাবিক রাখতে পারছি না। ছুটি নিয়ে সন্তানদের কাছে এসেছি। আমি চাই সৌদি আরবের আইনের মতো তাদের বিচার করা হোক।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আমার আস্থা রয়েছে। আশা করছি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মামলা পরিচালনা করে দ্রুত অপরাধিদের ফাঁসি ও ফাঁসির রায় কার্যকর করা হোক।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথপুর পৌর শহরের অভি মেডিকেল হল ফার্মেসির ভেতর থেকে ওই নারীর ছয় টুকরা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ফার্মেসির মালিক জিতেশ গোপ, পাশের মুদিদোকানি অনজিৎ গোপ ও অরূপ ফার্মেসির মালিক অসিত গোপকে গ্রেপ্তার করে। সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ধর্ষণের পর লাশ ছয় টুকরা করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। মঙ্গলবার আদালতে হত্যা ও ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন জিতেশ গোপ।




