ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ : আগামি ২৪ ঘণ্টা গুরুত্বপূর্ণ
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১:১৯:০২ অপরাহ্ন
অনুপম প্রতিবেদক : সমগ্র ইউক্রেনে রুশ সেনাদের সঙ্গে সামরিক বাহিনীর লড়াই অব্যাহত। গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর আশেপাশে উভয় পক্ষের সেনারা নিহত হচ্ছে। ইউক্রেনীয়রা ক্যামোফ্লাজ করছে। গোপনে হামলা করছে। এতে রুশ সেনারা অনেকটা নাজেহাল অবস্থায়।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে কথা বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ফোনালাপে তিনি বরিসকে বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টা ইউক্রেনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে।
যুক্তরাজ্য সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, ফোনালাপে জনসন রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
জনসন আরও বলেন, যুক্তরাজ্য ও তার মিত্রদের কাছ থেকে ইউক্রেনে প্রতিরক্ষামূলক সহায়তা পৌঁছানো নিশ্চিত করতে যুক্তরাজ্য যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবিলায় ইউরোপের এ দুই দেশের নেতা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখতে একমত হয়েছেন বলেও বিবিসির ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে বিভিন্ন দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার উদ্যোগ অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। একই সঙ্গে ইউক্রেনে অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাঠানো অব্যাহত রেখেছে তারা। গতকাল রোববার ইইউ ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। ইতিহাসে এটা প্রথমবার এ কাজ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
ওদিকে রাশিয়া হামলা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নতুন হুমকি দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট পুতিন রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর পরমাণু অস্ত্রের বিশেষ বাহিনীকে বহর প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে আজ সোমবার মস্কোর ঘনিষ্ঠ মিত্র ইউক্রেন সীমান্ত লাগোয়া দেশ বেলারুশে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা আলোচনা বসবেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ভোরে প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ সৈন্যরা। রাশিয়ার চার দিনের হামলায় ইউক্রেনের ৩৫২ জনের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে। অন্যদিকে, ৪,৩০০ রুশ সেনা নিহত হওয়ার দাবি করেছে ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ। ২০০ প্যারাট্রুপার মারা গেছেন রাশিয়ার। কিয়েভে এখন রুশ সেনা নেই জানিয়েছে ইউক্রেন। রাজধানীর পর দ্বিতিয় বড় শহর খারকিভ ইউক্রেনীয় সেনারা পুনরুদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে। তবে রাশিয়াও থেমে নেই, বিমান ও মিসাইল হামলা অব্যাহত রেখেছে বেলারুশে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত সত্বেও।




