কখনো সিআইডি, কখনো দুদক কর্মকর্তা, অবশেষে ধরা
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২:৫৯:২১ অপরাহ্ন
সিলেট অফিস : মাহমুদ আলী (৬৩) সিলেটের দক্ষিণ সুরমার উপজেলার একজন বাসিন্দা এক সময় কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন। পরে কিছুদিন কাজ করেছেন সার্ভেয়ারের সহযোগী হিসেবে। এ কাজ করতে গিয়ে জমিজমা সম্পর্কে তার কিছু ধারণা হয়। এই অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে নেমে পড়েন জমির দালালির কাজে। তিনি জমিজমা বিষয়ক সমস্যা সমাধানের কথা বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিতেন তিনি।
মানুষকে প্রভাবিত করতে কখনো ডিবি পুলিশ, কখনো সিআইডি, কখনো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বড় কর্মকর্তা, আবার কখনো দুদকের বড় কর্মকর্তা বলে পরিচয় দিতেন। বিশ্বাস করাতে মানুষকে তিনি আইডি কার্ডও রাখতেন সঙ্গে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি, অবশেষে ধরা পড়েছেন।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ৩ নম্বর তেতলী ইউনিয়নের বদিকোনা গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে র্যাব তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
সোমবার মাহমুদ আলীকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। র্যাব-৯ এর গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
র্যাব জানায়, বদিকোনা গ্রামের বড়বাড়ির শহীদুল্লাহের ছেলে মাহমুদ আলী। তিনি কাঠমিস্ত্রি ছিলেন। পরে প্রতারণায় নেমে পড়েন। মাহমুদ আলী লোকজনের কাছে নিজেকে বড় সরকারি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে তদবির করে দেওয়ার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেন। গত রোববার গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে ২টি ভুয়া আইডি কার্ড, প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন কাগজপত্রের একটি বান্ডিল, মোবাইল ফোন জব্দ করে র্যাব।




