ডাঃ মাহাথির মোহাম্মদের স্বাস্থ্যের উন্নতি
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ৭:১৩:২৬ অপরাহ্ন
মালয়েশিয়া প্রতিনিধি : তুন ডাঃ মাহাথির মোহাম্মদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে, এমনকি পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলতে পারছেন, বলেছেন তার মেয়ে দাতিন পাদুকা মেরিনা মাহাথির।
মানুষকে গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মেরিনা বলেছেন, ‘সূত্র যাচাই-বাছাই না করে বাবার শারীরিক অবস্থা নিয়ে কোনও ধরনের গুজব ছড়াবেন না। মাহাথির মোহাম্মদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সময়ে সময়ে ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউট এবং তার পরিবার বিবৃতি দেবে।’ দিনভর মালয়েশিয়ার স্বপ্নদ্রষ্টা সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই দেশটির সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে বলে পোস্ট দিয়েছেন।
মালয়েশিয়ার ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘসময়ের প্রধানমন্ত্রী ও সফল রাজনীতিবিদ মাহাথির মোহাম্মদ হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালের সিসিইউতে থাকলেও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন। তার মেয়ে মেরিনা মাহাথির এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত ৮ জানুয়ারি হৃদযন্ত্রে সমস্যা নিয়ে দেশটির ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউট (আইজেএন) হাসপাতালে ভর্তি হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ১১ দিন সাধারণ কেবিনে রাখা হলেও গত ১৯ জানুয়ারি তাকে স্থানান্তর করা হয় করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ)।
মঙ্গলবার আইজেএন হাসপাতাল থেকে মাহাথিরের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। যে কারণে ৯৬ বছর বয়স্ক এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মারা গেছেন,এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে বিশ্ব জুড়ে।
গত ১৬ ডিসেম্বর মেডিকেল চেকআপের জন্য আইজেএন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মাহাথির। ৬ দিন পর, ২২ ডিসেম্বর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এর আগে ১৯৮৯ এবং ২০০৭ সালে দুইবার বাইপাস সার্জারির মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন মাহাথির।
চিকিৎসা পেশা থেকে রাজনীতিতে আসা মাহাথির মোহাম্মদকে বলা হয় আধুনিক মালয়েশিয়ার স্থপতি। শুধু মালয়েশিয়ারই নয়, এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘসময় গণতান্ত্রিকভাবে দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ডটিও তার দখলে।
১৯২৫ সালে মালয়েশিয়ার কেদাহ প্রদেশের আলোর সেতার এলাকায় জন্ম নেওয়া মাহাথির মোহাম্মদ পড়াশোনা শেষে চিকিৎসক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত এই পেশা ধরে রেখেছিলেন তিনি।
চিকিৎসা পেশায় থাকা অবস্থাতেই মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড মালয়েস ন্যাশনাল অর্গানইজেশনে (ইউএমনএনও) যোগ দিয়ে পার্লামেন্ট সদস্য হন ১৯৬৪ সালে। তারপর ১৯৭৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে শিক্ষামন্ত্রী, এবং ১৯৭৬ সালে দেশের উপ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন।
১৯৮১ সালে প্রথমবারের মতো মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হন মাহাথির মোহাম্মদ। টানা ২২ বছর এই পদে আসীন থাকার পর ২০০৩ সালে স্বেচ্ছায় রাজনীতি থেকে অবসর নেন তিনি। তারপর জাতীয় রাজনীতির স্বার্থে ফের ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হন তিনি এবং এই পদে থাকেন ২০২০ সাল পর্যন্ত।