প্রবাসীর কথা’র লেখক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক নূরুল ইসলাম স্মরণে সভা অনুষ্ঠিত
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ জানুয়ারি ২০২২, ৪:৪১:০৩ অপরাহ্ন
লণ্ডন অফিস : মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ভাষা সৈনিক, প্রবাসীর কথা’র লেখক নূরুল ইসলাম স্মরণে গত ১৬ জানুয়ারি রোববার অনলাইন চ্যানেল ২৬শেটিভিতে চ্যানেলের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সমাজসেবক ও রাজনীতিবীদ আব্দুল আহাদ চৌধুরীর পরিচালনায় এক স্মরণে সভার আয়োজন করা হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এম আব্দুল মোমেন এম পি। বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ সুলতান মাহমুদ শরীফ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগনেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান গৌস সুলতান, ইউকে বিডি টিভি র চেয়ারম্যান সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ মকিস মনসুর, যুক্তরাজ্য বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এম আলিমুজ্জান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন লেখক নূরুল ইসলামের বড় মেয়ে মুনজেরিন রশিদ ও ছেলে মোরসালিন ইসলাম।
স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন, বিলেতে বাঙালী কমিউনিটির যেখানে সমস্যা ছিল সেখানেই ছিল তাঁর সরব কন্ঠ। প্রবাসী অন্ত:প্রাণ নুরুল ইসলাম ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য লন্ডন এসেছিলেন। এখানে এসেই আইয়ুব-বিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত হন। তখন দেশের শাসন ক্ষমতা পশ্চিমাংশে কুক্ষিগত হয়ে পড়েছিল এবং পূর্ব পাকিস্তানে নানাভাবে বৈষম্য সৃষ্টি হয়। এই বৈষম্যের অবসান ঘটাতে প্রবাসীরা সোচ্চার হন। নুরুল ইসলাম এই সংগ্রামে অংশ নিয়ে অল্পদিনে ছাত্র ও সুধী মহলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন। ১৯৬৩ সালে ‘ন্যাশনাল ফেডারেশন অব পাকিস্তান অ্যাসোসিয়েশন ইন গ্রেট ব্রিটেন’ গঠনের অন্যতম প্রধান ছিলেন। পরের বছর ১৯৬৪ সালে ‘ইস্ট পাকিস্তান হাউস’ প্রতিষ্ঠায়ও তিনি অন্যতম সংগঠক ছিলেন।
তিনি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর ছিলেন। ইংরেজী ,বাংলাসহ বিভিন্ন ভাষায় ছিলেন সুপণ্ডিত। পাকিস্তান সরকার তাঁর পাসপোর্ট সিজ করে ফেলে। ফলে তিনি বৃটেন আসতে পারেন নি বহু বছর। অনেক জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। মুক্তি সংগ্রামের পক্ষে দেশে বিদেশে কাজ করেছেন। ’প্রবাসীর কথা ‘ গ্রন্থ পাঠ করলে মরহুমের কর্মময় জীবন, সারা বিশ্বে বাঙালী মাইগ্রেশনের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও প্রবাসীর অবদানসহ অনেক তথ্য জানা যেতে পারে। বহুদিন বৃটেনে বাঙালী কমিউনিটির সংগ্রাম, দু:খ ও অগ্রযাত্রার কাহিনী শুনিয়েছেন ।’ প্রবাসীর কথা ‘ বই লিখতে গিয়ে সীমাহীন ত্যাগ ও কষ্টের কথা বলেছেন।