১২ বছরের বেশি শিক্ষার্থীরা টিকা ছাড়া ক্লাস করতে পারবে না
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ৯:৪১:২৫ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক : ১২ বছর থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা টিকা নেওয়া ছাড়া স্কুল কলেজে ক্লাস করতে পারবে না। এ বয়সী সব ছাত্রছাত্রীকে করোনার টিকা বাধ্যতামূলকভাবে নিতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের টিকাকেন্দ্রে উপস্থিত হওয়া নিশ্চিত করবেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) শনিবার এক আদেশে এ কথা বলা হয়। এতে বলা হয়, ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী সব শিক্ষার্থীকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে করোনার টিকা দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের জন্য পাঁচ দফা নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ১২ থেকে ১৮ বছরের সব শিক্ষার্থী টিকা গ্রহণ করবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান টিকা গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনে শিক্ষার্থীদের টিকাকেন্দ্রে উপস্থিতি নিশ্চিত করবেন। একই সঙ্গে শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষককেও টিকাকেন্দ্রে পাঠাবেন। টিকা গ্রহণ ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে না। টিকা কার্যক্রম চলমান অবস্থায় সব কটি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অঞ্চল, জেলা শিক্ষা কার্যালয়, উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন ছাড়া কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ এবং প্রয়োজনীয় সমন্বয় করে টিকা দেওয়ার কর্মসূচি বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সচেষ্ট থাকবেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর আরেক নির্দেশনায় মাউশি বলেছিল, জন্মনিবন্ধন সনদের মাধ্যমে সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকা দিতে চায় সরকার। এ জন্য যেসব শিক্ষার্থীর জন্মনিবন্ধন নেই এবং যাদের ১৬ ডিজিটের নিবন্ধন নম্বর নেই, তাদের আবার নিবন্ধন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের জানাতে হবে। এরপর করোনার টিকার জন্য যোগ্য সব শিক্ষার্থীর প্রতিষ্ঠানভিত্তিক তালিকা ৭ জানুয়ারির মধ্যে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানোর বিষয়টি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল। ৮ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে টিকা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার বিষয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল।