রাজনগর : ইউপি চেয়ারম্যানের বাসায় হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ৭:২৫:৪২ অপরাহ্ন
সংবাদদাতা : মৌলভীবাজার জেলার রাজনগরের টেংরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বাসায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নারীসহ অন্তত ৫ জন আহত ও নগদ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ও ৭ ভরি স্বার্ণালংকার লুটের অভিযোগ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান টিপু খান। ঘটনাটি শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে ঘটেছে। ঘটনার সময় ১ রাউন্ড গুলির শব্দও হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান , টেংরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. টিপু খানের ছোট ভাই দিপু খান শুক্রবার বিকালে টেংরা সর্দারশাহ মাজারে গিয়ে মাজারের সাদিক নামে এক ব্যক্তিকে মারধর করেন। এসময় মাজার মসজিদের সেক্রেটারিকে গালাগালও করেন তিনি। চেয়ারম্যান বিষয়টি সমাধান করবেন বলে মাজারের খাদেম ইলিয়াস শাহকে আশ্বস্থ করেন। কিন্তু বিষয়টি সমাধানের আগে রাতে আবারো চেয়ারম্যানের ভাই দীপু খান কয়েকজনকে গালাগাল করেন।
পরে রাত ৯টার পরে ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার (চেয়ারম্যান প্রার্থী) সেলিম আহমদের নেতৃত্বে একদল লোক হামলা চালিয়েছে- এমন অভিযোগ করে চেয়ারম্যান টিপু খান বলেন, হামলার সময় চেয়ারম্যানের বৃদ্ধা মাসহ ভাই দিপু খান (৪৫), জুবায়ের আহমদসহ (২২) কয়েকজনকে মারধর করা হয়। এছাড়া বাসার বিভিন্ন আলমিরার গ্লাস ভাংচুর করে নগদ এক লক্ষ ২০ হাজার ও ৭ ভরি স্বার্ণালংকার লুট করে নেয়া হয়।
এদিকে এ ঘটনার সময় ১ রাউন্ড গুলির আওয়াজ শোনা গিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। তবে উভয় পক্ষই প্রতিপক্ষকের বিরুদ্ধে গুলি ছোঁড়ার অভিযোগ করেন।
টেংরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু খান বলেন, মাজারের এক পাগলের গালাগলি ও চিৎকারে বাসার লোকজন বাচ্চারা ঘুমাতে পারে না। আমার ভাই তাকে গালাগাল করেছিল। বিষয়টি আমি সমাধান করে দিব বলে মাজারের লোকদের ফোনে বলে ছিলাম। কিন্তু রাতে সেলিম মেম্বারের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র লোক বাসায় হামলা চালায়। বিভিন্ন ঘরে তল্লাশি করে আলমিরা ভাংচুর করে। নগদ ১ লাখ বিশ হাজার টাকা ও ৭ ভরি স্বর্ণালংকার এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজ লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সেলিমের ভাতিজা পাউপগান দিয়ে গুলিও করেছে।
সাবেক ইউপি সদস্য (৪র্থ ধাপে চেয়ারম্যান প্রার্থী) সেলিম আহমদ বলেন, আমার নেতৃত্বে হামলার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। চেয়ারম্যানের মাদকাসক্ত ভাই বিভিন্ন মানুষদের গালাগালি করেছে। মাজারে গিয়েও গালাগাল-হামলা চালায়। বিভিন্ন লোক তাদের বাসার সামনে গেলে চেয়ারম্যান ভাই দিপু একটি বন্দুক বের করে গুলিও করেছে। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। আমি মধ্যস্থতায় ছিলাম।
এ ব্যাপারে রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, টেংরা ইউনিয়নের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গুলির বিষয়ে দুপক্ষই পরষ্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। বিষয়টি তদন্তাধীন আছে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।