ডেলমিক্রনের লক্ষণ, সংক্রমণের হার দেখাচ্ছে দেশে তৃতীয় ঢেউ শুরু
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ২:১৮:০৭ অপরাহ্ন
ডেলমিক্রনের উপসর্গ ওমিক্রন এবং ডেল্টার উপসর্গের মতোই। আক্রান্ত হলে উচ্চ তাপমাত্রা, ক্রমাগত কাশি, স্বাদ বা গন্ধ হ্রাস, সর্দি, মাথাব্যথা এবং গলা ব্যথা হয়
অনুপম প্রতিবেদক : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে নেমে এলে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ধরা হয়। আর সংক্রমণের হার ৫ শতাংশ ছাড়ালে পরবর্তী ঢেউ আঘাত হেনেছে ধরা হয়। দেশে সংক্রমণের হার এখন ৫ শতাংশের উপরে।
ডেলমিক্রনের লক্ষণ
করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের পাশাপাশি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আছে। দুটো মিলে হয় ডেলমিক্রন। ডেলমিক্রনের উপসর্গ ওমিক্রন এবং ডেল্টার উপসর্গের মতোই। আক্রান্ত হলে উচ্চ তাপমাত্রা, ক্রমাগত কাশি, স্বাদ বা গন্ধ হ্রাস, সর্দি, মাথাব্যথা এবং গলা ব্যথা হয়। মডার্নার চিফ মেডিকেল অফিসার ডাঃ পল বার্টন বলেন, ওমিক্রন এবং ডেল্টা ভেরিয়েন্ট একই সময়ে কাউকে সংক্রমিত করলে নতুন সুপার-ভেরিয়েন্ট তৈরি হবে। সেটা বিপদজনক। ওমিক্রন ছড়ায় দ্রুত।
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকে কম ঝুঁকিপূর্ণ মনে করার সুযোগ নেই বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম গেব্রেইসাস। তিনি বলেন, রেকর্ড সংখ্যক মানুষ সম্প্রতি এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ায় বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে বড় ধরণের চাপের মুখে ফেলেছে। ওমিক্রনে মানুষ মারা যাচ্ছে।
স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে
করোনা ভাইরাসের টিকা না নিয়ে কেউ ঘরের বাইরে বের হলে তাকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদরিগো দুতের্তে।
বাংলাদেশেও এমন পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, করোনা সংক্রমণের হার পাঁচ শতাংশের উপরে গেলে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। দেশে বর্তমান সংক্রমণ পরিস্থিতি তৃতীয় ঢেউয়ে রূপ নিচ্ছে।
ডেল্টা ও ওমিক্রন দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। শুধু আদেশ কিংবা নির্দেশনা দিলে হবে না, বাস্তবায়ন করতে হবে। মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে ডিসি-এসপিরা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে তাদেরও বিপদ আছে।
টিকা মনিটরিং দরকার
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট আগের চেয়ে ৭০ ভাগ বেশি শক্তিশালী। তাই দেশে ব্যাপক সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হলে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার মানুষ পাওয়া যাবে না। শুধুমাত্র মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে পারলে ৯০ ভাগ নিরাপদ থাকা যায়। কিন্তু দেশের অধিকাংশ মানুষ মাস্ক পরে না, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে না। এদিকে গ্রাম পর্যায়ে করোনার টিকা যথাযথভাবে দেওয়া হচ্ছে কিনা সেটি মনিটরিং করা হচ্ছে না। অনেকে টাকা না দিলে টিকা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।