২০২২ সালে বিশ্ব অর্থনীতির পাঁচ হুমকি
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ১:১৩:২০ অপরাহ্ন
অনুপম আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০২২ সালে বিশ্ব অর্থনীতির সামনে পাঁচটি চ্যালেঞ্জ। সেগুলো হলো- করোনা, টিকা, মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি, শিল্পে কাঁচামালের ঘাটতি এবং ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা।
২০২১ সালের প্রথমার্ধে বিশ্ব অর্থনীতিতে গতি ফেরায় আস্থা পেয়েছিলেন বিনিয়োগকারীরা৷ তাই চাঙা হতে শুরু করে শেয়ার বাজার৷ কিন্তু নভেম্বর থেকে ওমিক্রনের ধাক্কা নতুন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ মার্কিন বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান জেপি মরগ্যান অবশ্য মনে করছে ওমিক্রনের প্রভাব ততটা প্রবল হবে না অর্থনীতিতে৷ তবে টিকা প্রতিরোধী নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্ট দেখা দিলে পরিস্থিতি আবার ওলট-পালট হতে পারে৷
আইএমএফ বলছে, মহামারি প্রলম্বিত হলে মধ্য মেয়াদে তা বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে৷ তাদের বর্তমান পূর্বাভাসের চেয়ে আগামী পাঁচ বছরে জিডিপি পাঁচ দশমিক তিন ট্রিলিয়ন ডলার কমতে পারে৷ ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে প্রতিটি দেশে অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ৷ তবে স্বল্প আয়ের দেশগুলোতে এখন পর্যন্ত পাঁচ শতাংশ মানুষের টিকা সম্পন্ন হয়েছে৷
মহামারির ধাক্কা কাটলেও বিশ্ব বাণিজ্যের উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার ঘাটতি অর্থনীতির গতি টেনে ধরতে পারে৷ এরই মধ্যে জার্মানিসহ ইউরোজোনের গাড়ি নির্মাতা দেশগুলো যন্ত্রাংশ সরবরাহের ঘাটতিতে তাদের উৎপাদন কমাতে বাধ্য হচ্ছে৷ পরিবহণ ও লজিস্টিক প্রতিষ্ঠান ডিএসভি এয়ার অ্যান্ড সি বলছে, ২০২২ সালেও এই পরিস্থিতির তেমন একটা উন্নতি হবে না৷
কাঁচামাল ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধিতে বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি উল্লম্ফন ঘটেছে৷ ইউরোজোন ও যুক্তরাষ্ট্রে জীবনযাত্রার ব্যয় সাম্প্রতিক বছরগুলোর রেকর্ড ছাড়িয়েছে৷ কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো এর লাগাম টেনে ধরতে সুদের হার বাড়াতে পারে বলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশঙ্কা রয়েছে৷ সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক না হলে ২০২২ সালের বেশিরভাগ সময় জুড়েই মূল্যস্ফীতি মানুষকে ভোগাবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা৷
ইউক্রেনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সম্পর্কের ক্রম অবনতি হচ্ছে৷ এমনকি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ন্যাটো দেশগুলোর অবরোধ ও যুদ্ধের আশঙ্কাও দেখছেন অনেকে৷ এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপ নর্ড স্ট্রিম টু গ্যাস পাইপলাইন বন্ধ করে দিলে তা সারা বিশ্বেই জ্বালানি সংকট তৈরি করবে৷ এতে তেলের মূল্য ব্যারেল প্রতি ১০০ ডলার ছাড়াতে পারে৷ সামনের দিনের বিশ্ব বাণিজ্য নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের উপরও৷ সূত্র : ডয়েচভেলে