রাজনীতিকদের মনোযোগ এখন বঙ্গভবনের দিকে
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২০ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:১৯:৩৫ অপরাহ্ন
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা কোভিড-১৯ পরীক্ষা করে নেগেটিভ ফলের ভিত্তিতে সংলাপে অংশ নিতে পারবেন
অনুপম নিউজ ডেস্ক : নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আলাপের সময় আসায় দেশের রাজনীতিকদের মনোযোগ এখন বঙ্গভবনের দিকে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ আজ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে। প্রথমদিন এই সংলাপে অংশ নিতে বঙ্গভবনে যাচ্ছে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। বুধবার অংশ নেবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ। পর্যায়ক্রমে নিবন্ধিত সব দলই বঙ্গভবনে সংলাপে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পাবে। নতুন নির্বাচন কমিশন (ইস) গঠন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
এ প্রসঙ্গে রোববার রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে জানান, জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল হিসাবে প্রথমে জাতীয় পার্টিকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংলাপের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এরপর একদিন বিরতি দিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। পর্যায়ক্রমে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে রাষ্ট্রপতির সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হবে। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা কোভিড-১৯ পরীক্ষা করে নেগেটিভ ফলের ভিত্তিতে সংলাপে অংশ নিতে পারবেন।
জানা গেছে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদেরের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে যাবেন। প্রথমদিন তারা বিকাল ৪টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেবেন।
প্রতিনিধি দলে আছেন-দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি।
সূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতির কাছে জাতীয় পার্টি ইসি পুনর্গঠনে যেসব প্রস্তাব তুলে ধরবে তার একটি খসড়া দলটি ঠিক করেছে। এর আগে ২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে জাতীয় পার্টি পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েছিল। এবারও সংলাপে ইসি পুনর্গঠনে গত সংলাপে দেওয়া প্রস্তাবগুলোই প্রাধান্য পাবে। যার মধ্যে প্রধান দাবি থাকবে-ইসি পুনর্গঠনে সংবিধানের নির্দেশনা মেনে আইন প্রণয়ন। দলটির শীর্ষ নেতাদের মতে, আইন না থাকায় প্রতিবারই ইসি গঠন নিয়ে সংকটে পড়তে হয়। মনঃপূত না হলে রাজনৈতিক দলগুলো ভিন্ন সুরে কথা বলে। এজন্য একটি স্থায়ী সমাধানের প্রয়োজন। আর এর সমাধান সংবিধানেই দেওয়া আছে। এখন দরকার সেই নির্দেশনা মোতাবেক আইন প্রণয়ন করা। যা নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে স্থায়ী সমাধান দেবে।